শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডা. ফেরদৌসের ভণ্ডামী ধরা পড়েছে

ডা. ফেরদৌসের ভণ্ডামী ধরা পড়েছে

অবশেষে থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। ডা. ফেরদৌসকে নিয়ে বিতর্কের অবসান হতে চলেছে। করোনা ভাইরাসকালিন স্বঘোষিত দেবদূত; বিতর্কিত ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার বাংলাদেশী- আমেরিকান নন, পাকিস্তানী আমেরিকান।

তাই তাঁকে ভিসার মেয়াদ শেষ হবার কারণে বাংলাদেশ থেকে ফেরত যেতে হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশী আমেরিকান নাগরিকদের পাসপোর্টে নো ভিসা রিকয়ার্ড ফর ট্রাভেল টু বাংলাদেশ` লেখা থাকার কারণে তাদের বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে ভিসা নিতে হয় না। কিন্তু গত ২৩ জুন বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার নিজেই জানিয়েছিলেন যে, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হচ্ছে। ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের আমেরিকান পাসপোর্টে দেখা যায় যে, সেখানে তার জন্মস্থান লেখা আছে পাকিস্তান।  

কূটনৈতিক সূত্রটি আরো জানিয়েছে ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার এর আমেরিকান পাসপোর্টে প্লেইস অব বার্থ এর স্থানে পাকিস্তান লেখা রয়েছে। তিনি পাকিস্তানী পাসপোর্টে আমেরিকায় ঢুকেছিলেন, যার ফলে লিগালাইজেশনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টকে পাকিস্তানের বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছে। জানা যায়,নিজের মামার নাম মোস্তাক হবার কারণে তিনি খুনি মোস্তাকের ভাগিনা সেজে, বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয় সেজে পাকিস্তানি পাসপোর্টে আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে শর্টকাটে নাগরিকত্ব নেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের সাথে বেইমানী করে পাকিস্তানি আমেরিকান হন।      

এদিকে গত ৭ জুন বাংলাদেশে পৌছার পর ঢাকা শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে বনানীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পাকিস্তানি দূতাবাসের অর্থায়নে বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের দিয়ে হিউম্যান স্টোরি করে ডা. ফেরদৌস এর পক্ষে প্রচার চালানো হয়। আসলে ডা. ফেরদৌস এককালে ছাত্রলীগ করলেও পরে সে পক্ষ ত্যাগ করে পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট হয়ে যান। ডা. ফেরদৌসকে কোয়ারেন্টিনে রাখা নিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে আর আমেরিকায় বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ডা. ফেরদৌস খন্দকার বর্তমান অবস্থান না জেনেই তার পক্ষ নেন।   

পাকিস্তানের নির্দেশেই  ডা. ফেরদৌস খন্দকার আমেরিকায় একজন জামাত নেতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছেন। জানা যায়-ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের ব্যবসায়ীক পার্টনারের নাম আতাউল ওসমানী। সে ছিলো চট্টগ্রাম মেডিকেলের জামাতের- শিবিরের নেতা। বর্তমানে নর্থ আমেরিকার মুসলিম উম্মা সংক্ষেপে ইকনা’র কালচারাল ডিরেক্টর। ২০১৯ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন অব আমেরিকার নির্বাচনে ডাঃ ফেরদৌস বিএনপি- জামাতের প্যানেলের ছিলেন অর্থ যোগান দাতা ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। কারণ, ঐ নির্বাচনে ব্যবসায়ীক বন্ধু আতাউল ওসমানীর পক্ষে তিনি নির্বাচনী সভাও করেছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফাঁসাবার জন্য এফবিআইএর সাবেক এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক এবং বিএনপির রিজভী আহমেদ সিজারসহ যে গ্রুপটির সাজা হয় তাদের সাথেও রয়েছে ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের ব্যবসায়ীক পার্টনারের নাম আতাউল ওসমানীর সম্পর্ক। নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দাবী করলেও ২০১৯ সালের আগে নিউ ইয়র্কে ডাঃ ফেরদৌসকে জাতির পিতার জন্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকী, ১৬ ডিসেম্বর বা ২৬ মার্চের কোন অনুষ্ঠানে কোনদিন দেখা যায়নি। ডাক্তার ফেরদৌস যে একজন ভণ্ড প্রচারসর্বস্ব, প্রতারক পাকি তার পাসপোর্টের কপি দেখে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ রইলো না।

আমেরিকায় ফেরার পরে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন হয়রানী সহ নানা অভিযোগ আসছে কারণ তিনি আমেরিকায় করোনা কালের আগে জিপি হিসেবে যৌন রোগের চিকিৎসা করতেন বেশি।    

ডা. ফেরদৌস খন্দকার পাকিস্তানি কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে এসেছিলেন তা এখনো জানা যায় নি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর