শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার প্যারোলে মুক্তি বনাম আইনি বাস্তবতা

খালেদার প্যারোলে মুক্তি বনাম আইনি বাস্তবতা

 

সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির ব্যাপার নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিগত দিনে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলের নেতাকর্মীরা জোরালো আন্দোলনের কথা বললেও তা মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না এটি দলের অনেক শীর্ষ নেতারাই বুঝে ফেলেছেন। পাশাপাশি আইনিভাবেও খালেদাকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ফলে বিএনপির একটি পক্ষ থেকে ইদানীং তাকে প্যারোলে মুক্তির দাবি জানানো হচ্ছে। 

আইন অনুযায়ী প্যারোলে জামিন বা মুক্তি দেওয়া হয় খুবই সাময়িক সময়ের জন্য। আসামীকে পুলিশের হেফাজতে যেতে দেওয়া হয় এবং উদ্দেশ্য শেষ হলে উক্ত পুলিশ প্রহরায় পুনরায় তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধিতে প্যারোলে জামিন বলে কোন কথা উল্লেখ নেই। তবে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন হিসাবে ধারা ৪৯৮ এর ব্যাখ্যায় প্যারোলে মুক্তির বিধান নিহিত আছে। যেমন- কোন আসামীর পিতা, মাতা বা কোন নিকট আত্মীয় মারা গেলে তাকে জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার কারাবরণ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। বিশেষ করে ১/১১ সরকারের সময়ে তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। তখন তিনি উল্লেখিত আইন অনুযায়ী একবার প্যারোলে মুক্তি নিয়েছিলেন। মা তৈয়বা মজুমদার মারা গেলে তাকে দেখতে প্যারোলে মুক্তি নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে এবার বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদার প্যারোলে মুক্তি চাওয়ার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। খালেদাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্যারোলে মুক্তির বিধান অনুযায়ী যা কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। কারণ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হলে খালেদাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য যেতে হবে যা আইন বহির্ভূত, কারণ খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: