রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের কাছে কূটনীতিক লড়াইয়ে যেভাবে হারল বিএনপি

আওয়ামী লীগের কাছে কূটনীতিক লড়াইয়ে যেভাবে হারল বিএনপি

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কূটনৈতিক যুদ্ধেও হেরে গেল বিএনপি। মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিংয়ের পরেও বিএনপি কোন সুবিধা করতে পারেনি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপির প্রধান টার্গেট ছিলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বিএনপি চেয়েছিল, আন্তর্জাতিক মহলে যেন এই নির্বাচন স্বীকৃতি না পায়। কূটনীতিক মহল যেন এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তারা যেন নির্বাচনের ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে কথা বলে।

এ লক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি দল ২ দফা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেখানে নির্বাচনের নানা অনিয়ম তুলে ধরেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন নিয়ে নানা কারচুপির অভিযোগ তুলে ধরে। বিএনপিও আলাদাভাবে কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করে নির্বাচনে কথিত অনিয়মের তথ্য প্রমাণ প্রদান করে। শুধু দেশে নয়, জাতিসংঘ, মার্কিন কংগ্রেস, পররাষ্ট্র দপ্তরেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নালিশ করে বিএনপি। এমনকি জাতিসংঘ মহাসচিবকে নির্বাচন বাতিলের জন্য হস্তক্ষেপ করারও অনুরোধ জানায়।

বিএনপির এতসব লবিং আর তৎপরতা দৃশ্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকেই একের পর এক প্রভাবশালী দেশ নবনির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানাতে থাকে। সর্বশেষ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অভিনন্দন বার্তার পর কূটনৈতিক যুদ্ধে বিএনপির পরাজয় নিশ্চিত হয়। আর ২৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে চা-চক্রে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিএনপির কূটনৈতিক উদ্যোগের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হলো। এখন বিএনপির যেমন নির্বাচন নিয়ে দেশে প্রতিবাদ করার সামর্থ্য নেই, তেমনি নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সহানুভূতি পেল না বিএনপি।

২৮ জানুয়ারি কূটনীতিকরা গণভবনে এসে সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলেন। বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নির্বাচনকে সব দেশই মেনে নিয়েছে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে, কারচুপির ঘটনাও ঘটেছে। যেটা প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এই ত্রুটি বিচ্যুতি ছাড়াও এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিলো প্রত্যাশিত। এসব অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটলেও এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগই জয়ী হতো বলে কূটনীতিকরা মনে করেন। যেহেতু নির্বাচনের মৌলিক ফলাফলের কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই তাই কূটনীতিকরা নতুন করে এ বিষয়টি নিয়ে এগুতে চায় না।

তাছাড়া প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা মনে করেন নির্বাচনে যে কারচুপির কথা বলা হচ্ছে সেটা তৃতীয় বিশ্বের দেশ এবং এই উপমহাদেশের নির্বাচনে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। যে দল যত জনপ্রিয়, সেই দলের পক্ষে এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও নির্বাচনের মূল ফলাফলে কোন প্রভাব পড়ে না। নির্বাচনের পর বেশ কিছু দূতাবাস, নতুন সরকার গঠন এবং তার লক্ষ্যগুলোকে অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবে দেখছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী সকলের জন্য সুষম উন্নয়ন, সুশাসন এবং দুর্নীতি বন্ধে যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন- তা বিদেশী দূতাবাসগুলো বাংলাদেশের জন্য নতুন আশাবাদ হিসেবে দেখছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের পথে যাচ্ছে তা আরো টেকসই হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

বিদেশী দূতাবাসগুলো শুধু মনে করছে, সরকার যদি মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে তাদের এজেন্ডায় গুরুত্ব দেয় তাহলে বাংলাদেশ এই মেয়াদে সারা বিশ্বের জন্যই অনুকরণীয় রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

সিরাজগঞ্জ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে জুনে
বেলকুচিতে জামান টেক্সটাইল পরিদর্শনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
রায়গঞ্জে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে ট্রেতে চারা উৎপাদন
সিরাজগঞ্জের নলকায় চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের আর্থিক অনুদান ও ট্রাইসাইকেল বিতরণ
চুরি প্রতিরোধে কাজিপুর থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
শাহজাদপুরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও শরবত বিতরন
সিরাজগঞ্জে মে দিবসের আলোচনা সভায় হেনরী এমপি
গরমে সুপেয় পানি ও শরবত বিতরন করলেন সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ
বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
কামারখন্দে শ্রমিকদের সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন যুবলীগ