
সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি দুই সপ্তাহ ধরে ধীরগতিতে বাড়লেও তিন দিন ধরে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এরই মধ্যে বিপৎসীমার কাছাকাছি গিয়ে চরাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ফুলজোড়, করতোয়াসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। তবে এবার জেলায় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আজ শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পয়েন্টে আগের দুই দিন যথাক্রমে ২২ সেন্টিমিটার ও ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ১২ দশমিক ৯০ মিটার।
অপর দিকে জেলার কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৪ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)। এ পয়েন্টে আগের দুই দিন যথাক্রমে ২৪ ও ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। ফলে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলিয়ে গেছে। আরও দু-এক দিন পানি বাড়বে। বিপৎসীমার কাছাকাছি গেলেও অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই।