মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ভাঙন আতঙ্কে নদীতীরের মানুষ

সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ভাঙন আতঙ্কে নদীতীরের মানুষ

সংগৃহীত

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। টানা ১১ দিন ধরে নদীর পানি বাড়ছে। এতে জেলার চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে জেলার পাঁচটি উপজেলা- সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী, কাজিপুর, গান্ধাইল, শুভগাছা, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, মনসুরনগর ও চরগিরিশ ইউনিয়ন এলাকাগুলো ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে যমুনার পানি বাড়লেই শুরু হয় তীব্র ভাঙন, যা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।

চরাঞ্চলের শ্রীপুর ও ফুলজোড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ ও শফিকুল ইসলাম জানান, সামান্য পানিবৃদ্ধিতেই তাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের বসতবাড়ি, তোষা-পাট এবং আবাদি জমির একটি অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।

তারা আরও জানান, শ্রীপুর ও ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ভাঙনের মুখে রয়েছে। তারা বলেন, যখন যমুনার পানি বাড়ে, তখন আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার মতো কেউ নেই।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে হয়েছে ১২.৪৭ মিটার, যা বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, কাজিপুর পয়েন্টে পানির সমতল ১৪.০৪ মিটার, যেখানে একই হারে পানি বেড়ে এখনও বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েকদিন পানির প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

নদীতীরের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবছরই যমুনার পানি বাড়া-কমার সময় নদীভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। এ নিয়ে তারা চরম উদ্বেগে রয়েছেন। দ্রুত কার্যকর ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সর্বশেষ: