রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে খড়ের দাম বাড়ায় লাভবান কৃষক

সিরাজগঞ্জে খড়ের দাম বাড়ায় লাভবান কৃষক

দাম বাড়ায় সিরাজগঞ্জে খড়ের কদর বেড়েছে । কয়েক বছর আগেও কৃষকরা খড় সংরক্ষনে তেমন নজর দিত না। কিন্তু খড়ের চাহিদা ও দাম বাড়ায় কৃষকরা এখন খড় সংরক্ষন করায় ব্যাস্ত হয়ে পরেছে । ধানের দাম বাড়ার পাশপাশি খড়ের দাম বৃদ্ধিতে কৃষক পরিবার গুলিতে স্বস্তি এসেছে ।

তারা জানান আগে খড়ের তেমন দাম না থাকায় নিজেদের গবাদি পশুকে খড় খওয়ানোর পাশাপাশি জ্বালানী হিসাবে ব্যাবহার করতো জিকন্তু এখন ভালো দাম পাওয়ায় তারা খড় বিক্রী করে আবাদের খরচের একটা অংশ হলেও মিটাতে পারছেন । তাই তারা যত্নের সাথে খড় সংরক্ষন করে পরে বেশি দামে বিক্রি করেন ।

প্রতিবছরই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে খড়ের ব্যাপক চাহিদা বাড়ে । জেলায় যে পরিমান খড় উৎপাদন হয় তাতে জেলার চাহিদা মেটে না । যে কারণে প্রতিবছরই রংপুর দিনাজপুর জেলা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে খড় আনতে হয় গো- খামারীদের । সে সময় খড়ের দামও বেশ বেড়ে যায় । যে কারনে অনেক খামারী মৌসুমের সময় খড় কিনে সংরক্ষন করে রাখেন সারা বছরের জন্য ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় এবছর জেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫ হেক্টরের বেশী জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে । এবছর ইতিমধ্যেই ধান সারা প্রায় শেষ ভালো দামের আশায় তাই এখন কৃষকরা খড় সংরক্ষন করছেন । খামারী সূত্রে জানা যায় মৌসুমের সময় প্রতি আটি খড় দেড় টাকা থেকে ২ টাকা বিক্রী হয় । কিন্ত অন্য সময় ১ আটি খড় ৫/৬ টাকায় বিক্রী হয় । আবার কোন কোন এলাকায় ৪/৫শ টাকা মন ( ৩০কেজি ) দরে বিক্রী হয় ।

এ সময় খামারীদের এত দামে খড় ক্রয় করে গবাদি পশুকে খাওয়ানো কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।এ বিষয়ে সদর উপজেলার কয়েলগাঁতী গ্রামের কৃষক সোহেল জানান গত বছর ৫ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে খড় বিক্রী করেছেন প্রায় ৩২ হাজার টাকা । এবছরও সমপরিমান জমিতে ধান লাগিয়ে কাটা প্রায় শেষ । তিনি আশা করছেন এবছরও ভালো দামে খড় বিক্রী করবেন । কাটেংগা চরের কৃষক খড়ের দাম ভালো থাকায় এখনই খড় বিক্রী না করে সংরক্ষন করছেন বেশী দামের আশায় ।

খামারী শহিদুল ইসলাম জানান মৌসুমের সময় খড়ের দাম একটু কম থাকলেও ধান কাটার মৌসুম শেষ হলে কয়েক মাসের মধ্যে খড়েরর দাম ব্যাপক বেড়ে যায় । তিনি জানান গত বছর এক পালা খড় ২৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন । যা তার খামারের গবাদি পশুর খাবার হিসাবে মাত্র ১৫ দিন যায় ।

 

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, ধান কাটা মৌসুমে খড়ের দাম একটু কম থাকলেও কয়েক মাস পর এর দাম বেশ ভালো হয় । এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে । তিনি এই সময় ভালোভাবে খড় সংরক্ষন করে কয়েক মাস পর খড় বিক্রীর পরামর্শ দেন ।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: