বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেলকুচিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফল উৎসব

বেলকুচিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফল উৎসব

কথায় আছে, ‘বারো মাসে বারো ফল, না খেলে যায় রসাতল। ’ গ্রীষ্মের ভাপসা গরমে একঘেয়েমি বা ক্লান্তি কাটাতে মৌসুমি ফলের জুড়ি মেলা ভার। শরীর ও মন তৃপ্ত করার পাশাপাশি শক্তি জোগাতেও কাজ করে এসব ফল। মৌসুমি ফলে মৌসুমি রোগবালাইয়ের প্রতিষেধক থাকে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

জ্যৈষ্ঠ মাস চলে গেলেও এর রেশ এখনো কাটেনি। গ্রীষ্মের রসালো সব ফল এখনো বাজার দখল করে আছে। কোমলমতি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মৌসুমি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করে নিতে ফল উৎসবের আয়োজন করেছেন বেলকুচি শুভসংঘের বন্ধুরা।

গত ১০ জুন শুক্রবার বিকেলে বেলকুচি উপজেলার বানিয়াগাঁতী জামিয়াতুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ কবরস্থান মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মৌসুমি বিভিন্ন ফল দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। আনন্দঘন পরিবেশে শুভার্থীরা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে (আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, তরমুজ, আনারস, আপেল, মাল্টা, তালের শাঁস) ফল পরিবেশন করেন।

মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মো. জুবায়ের আহমেদ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর আয়োজনের জন্য আমাদের মাদরাসাকে তারা বেছে নিয়েছে। আমাদের লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ৩২ জন ছাত্র আছে। এই শিক্ষার্থীরা সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তিন বেলা ভালো খাবারই যেখানে মুশকিল, সেখানে তাদের ফল খাওয়ানো অনেকটাই দুরূহ। আজকে শুভসংঘের কল্যাণে তারা ভালো ভালো ফল খেয়েছে। আমরা সবাই শুভসংঘের জন্য দোয়া করি। আর এই শিক্ষার্থীদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

কালের কণ্ঠ শুভসংঘ বেলকুচি শাখার সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুভ কাজে সবার পাশে স্লোগানকে ধারণ করে শুভসংঘ কর্মপরিকল্পনা সাজায়। মাদরাসার এই অসহায় শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের স্বাদ দিতেই আমাদের এই আয়োজন। আগামী দিনেও আমাদের মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। ’

সিরাজগঞ্জ জেলা শুভসংঘের উপদেষ্টা প্রদীপ সাহা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘ দেশব্যাপী মানবিক কাজের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বেলকুচির এই মাদরাসায় ফল উৎসব। নিঃসন্দেহে এটি মহতী উদ্যোগ। ধন্যবাদ বেলকুচি শুভসংঘের বন্ধুদের।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ