সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চাষ হচ্ছে জাপানের মিষ্টি আলু ওকিনাওয়া। নদীর তীরবর্তী জমি ও চরাঞ্চলের বেলে দো-আঁশ মাটি মিষ্টি আলু চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। যেখানে পানির অভাবে অন্যান্য ফসল ভালো হয় না, সেখানে মিষ্টি আলুর ভালো ফলন পাওয়া যায়। ওকিনাওয়া একটি উন্নত মানের জাপানি মিষ্টি আলুর জাত। এ জাতের আলু দেখতে লাল বর্ণের হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাজার দরও ভালো এবং দামও বেশি।
প্রতিবিঘা জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করতে ২৭ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয় আর একই জমিতে উৎপাদিত মিষ্টি আলু বিক্রি হয় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তাই অল্প পরিশ্রম ও কম খরচে বেশী লাভবান হওয়ায় এ অঞ্চলে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাকুরতলা গ্রামের কৃষক ইউসুফ শেখ জানান, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের উৎসাহে ‘কন্দাল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় তার ২০ শতক জমিতে ওকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু রোপন করা হয়। প্রতি শতক জমিতে ৩ মণ মিষ্টি আলু পেয়েছি। প্রকারভেদে প্রতি মণ মিষ্টি আলু স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. এহসানুল হক বলেন, মিষ্টি আলু অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, কম পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাটিতে চাষ করা যায় এবং ফলন যে কোন ফসলের চেয়ে বেশি। যার ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে, এ আবাদকে সম্প্রসারিত করতে আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন, এ বছর উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। মিষ্টি আলু এমন একটা ফসল যেখানে রোগবালাই এর প্রকোপ খুবই কম এবং স্বল্প সময়ে অধিক ফলন হয়। এ ফসলের উৎপাদনকে বাড়াতে আমরা কৃষকদের হাতে উন্নত জাতের মিষ্টি আলুর জাত তুলে দিচ্ছি। আশা করি এই কৃষকদেরকে দেখে অন্যান্য কৃষক অনুপ্রাণিত হবে ও মিষ্টি আলুর আবাদ সম্প্রসারিত হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ