শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিমগাছি মৎস্যচাষ প্রকল্পে ১০ হাজার পরিবারের ভাগ্য বদল

নিমগাছি মৎস্যচাষ প্রকল্পে ১০ হাজার পরিবারের ভাগ্য বদল

সিরাজগঞ্জে নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্পের ৭৮৯টি পুকুরে মাছচাষ করে সচ্ছলতা ফিরেছে ১০ হাজার ১৩৭টি পরিবারে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ এবং পাবনার ভাঙ্গুরা ও চাটমোহর উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা ৬৬৮ হেক্টর পুকুর সম্মিলিতভাবে ইজারা নিয়ে মাছচাষ করছেন।

প্রতিবছর হেক্টরপ্রতি গড়ে সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টনেরও বেশি মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। যার বাজারমূল্য প্রায় শত কোটি টাকা। সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ৭০ ভাগ মাছের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও যাচ্ছে নিমগাছি সমাজভিত্তিক প্রকল্পের মাছ।

রায়গঞ্জ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ প্রকল্পে পাঙাশ, কার্প, তেলাপিয়া, গুলশা, পাবদা, শিং, কৈ মাছের চাষ বেশি হয়। এটি দেশের একমাত্র সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্প। হ্যাচারিতে রয়েছে ৪৩টি পুকুর। যেখানে কার্প ও দেশীয় জাতের মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়।

নিমগাছি মৎস্যচাষ প্রকল্প (রাজস্ব) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে হ্যাচারিতে প্রাকৃতিকভাবে ব্রুড মাছ (প্রজননক্ষম মাছ) উৎপাদন করা হয় ১৫ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন। যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৫০ টন। এতে সরকার ওই বছরে হ্যাচারি থেকেই রাজস্ব পেয়েছে ৫০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

বর্তমানে প্রতিবছর ১৫ হাজার কেজি কৌলিতাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন ব্রুড মাছ উৎপাদন করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হ্যাচারিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চাহিদা থাকায় কুঁচিয়ার পোনা ও শামুক-ঝিনুকের উৎপাদন কার্যক্রম চলমান।

রায়গঞ্জ উপজেলার সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষী এনছাব আলী সেখ (৬৪) জাগো নিউজকে বলেন, ‘দরিদ্র ৩০ সদস্যকে নিয়ে স্থানীয় ঘোড়ামারা পুকুরে মাছচাষ করছি। এতে আগে কষ্টে দিন কাটলেও এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেশ ভালো আছি।’

নিমগাছি হ্যাচারির টেকনিশিয়ান দিনাথ মাহাতো (৬২) জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে হ্যাচারিতে কর্মরত। এ কাজ করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। দুই সন্তানই এখন সরকারি চাকরি করছে। সংসারে আর কোনো অভাব নেই।’

সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের সুফলভোগী শ্যামল চন্দ্র মাহাতো বলেন, সমাজভিত্তিক প্রকল্পের একটি পুকুর ইজারা নিয়ে তারা মাছচাষ করছেন। এতে ৩০টি পরিবারের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলার মাছচাষি মাসুদ রানা জাগো নিউজকে বলেন, মাছচাষ অনেকের কপাল খুলে দিছে। আগে শুধু জেলেরা মাছচাষ করলেও এখন শিক্ষিত সমাজও এ পেশায় ঝুঁকছে।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নিমগাছি মৎস্যচাষ প্রকল্পটি দেশের একমাত্র সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। এখানে হ্যাচারি ইউনিট ও মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি মাছ ও পোনা উৎপাদনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর