শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চৌহালীতে কুয়াশাও নাব্যতা সংকটের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস ইউএনওর

চৌহালীতে কুয়াশাও নাব্যতা সংকটের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস ইউএনওর

চৌহালীযমুনা নদীতে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী- এনায়েতপুরে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। এ কারণে ক্ষীণ হয়ে এসেছে নদী। এ ছাড়া নদীর মাঝে নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নদীর প্রস্থ এখন দুই কিলোমিটার। যা বর্ষায় থাকে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার। যমুনার বুক জুড়ে কৃষকরা এখন বোরো ধান, ভুট্টা, খেসারী, কালাই ও চিনাবাদামসহ বিভিন্ন ফসল চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের সঙ্গে যমুনা নদীতে নেমে আসে বালু। ফলে নদীর মাঝে তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। এ কারণে বর্ষায় যমুনার পানি ফুলে ফেপে উঠে পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দেয়। অপর দিকে শুষ্ক মৌসুমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নৌ-পরিবহনে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।

প্রতি বছর যমুনার তলদেশ ভরাট হওয়ার কারণে হারাতে বসেছে এর অতীত ঐতিহ্য। তবে এই সুযোগে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে বালু তুলে নদীর গতিপথ নষ্ট করে দিচ্ছে। এক সময় দূর-দূরান্ত থেকে নৌ-পথে সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে জাহাজসহ পন্যবাহী নৌ যান চলাচলের সেই দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না।

এদিকে নদীতে এ কূল ভাঙে আর ও কূল গড়ার কারণে তলদেশ ভরাট হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সহজেই দু’কূল ছেপে বন্যা আসে। ভাঙে আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি। নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। তাছাড়া পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীতে মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করতো, তারা আজ অসহায়। নদীতে নেই আর আগের মত মাছ। জেলেরা পেশা বদল করে চলে যাচ্ছে অন্য পেশায়।

যমুনা নদীতে এখন পানি কমে যাওয়ায় নতুন নতুন চর উঠার কারণে চৌহালী থেকে এনায়েতপুর নৌকা ঘাট হয়ে জেলা সদরে যাতায়াতে শ্যালো নৌকায় ১ ঘণ্টার বদলে এখন প্রায় তিন ঘন্টা সময় বেশি লাগে।

জাহাজ চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও শ্যালো নৌকা চলছে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে। নৌপথ বন্ধের কারণে এক চর থেকে আরেক চর এখন নৌকার বদলে পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়।

এ নিয়ে উমারপুরের শিক্ষক আবদুল হালিম , জাকির হোসেন, ঘোড়জানের শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদ , চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর নৌকা ঘাটের ইজারাদার ইউসুফ আলী ও নৌকার মাঝি আক্তার হোসেন জানান, যেভাবে নদীর পানি কমছে, তাতে নৌকা চালানো দুষ্কর হয়ে পড়বে। এখন ড্রেজিং করে নৌ পথ তৈরি করা না হলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। এতে করে জেলা সদরের সঙ্গে নৌ পথে চৌহালীর যাবতীয় কর্মকান্ড স্থরিব হয়ে পড়বে। দ্রুত ড্রেজিং করে নৌ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নৌপথের পন্য ও যাত্রীবাহী নৌযানগুলোকে পড়তে হচ্ছে বিরম্বনায়। নৌকার মাঝি ও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত যমুনা নদীতে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করে নাব্যতা সংকট সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান যে, এটা নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে।

প্রয়োজনবোধে নদী রক্ষা কমিশন এর সভায় বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এর সমাধানের লক্ষ্যে তিনি এবং তার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ পক্ষ থেকে যা- যা করণীয় তা করা হবে"এমনটাই জানিয়েছেন ৷

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর