শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে কাজিপুরের চরাঞ্চলের ৪০ কিলোমিটার রাস্তা

দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে কাজিপুরের চরাঞ্চলের ৪০ কিলোমিটার রাস্তা

সময় সেখানকার মানুষ জন নৌকা বা ভেলা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারেন না। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। আবার শুষ্ক মৌসুমে চোখ যতদূর যায় বিস্তীর্ণ মরুভূমি ন্যায় শুধু বালু চর দেখা যায়। রাস্তা না থাকায় চলাচল করতে হয় পায়ে হেটে। এভাবেই জীবন-যাপনে অভ্যস্ত সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা চরের ৬ ইউনিয়নের প্রায় পৌণে দুই লাখ মানুষ। 

গত এক দশকের মধ্যে কিছু পাকা রাস্তা নির্মিত হয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর বন্যার ছোবলে বারবার ওই রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরও এই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য এ বছর হাতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। তারই ধারাবাহিকতায় শুধুমাত্র চরাঞ্চলের মনসুর নগর ইউনিয়নেই ১০ টি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন কাজিপুর উপজেলা প্রশাসন। 

কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, কাজিপুরের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন যমুনার চরে অবস্থিত ছয়টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট নির্মাণে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। টিআর, কাবিখা, কাবিটা’র মাধ্যমে এই প্রকল্পে নির্মিত মাটির রাস্তাগুলো বন্যার লেভেল থেকে উঁচু করা হচ্ছে। এতে করে রাস্তাগুলো টেকসই হবে, জনগণের পণ্য পরিবহন ও চলাচলে সুবিধা হবে। 

এরই মধ্যে মনসুর নগরের এই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে প্রায় ৪০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে টিআর বরাদ্দ ১৯ লক্ষ টাকা আর কাবিখার মাধ্যমে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।   

  শুক্রবার (২১ মে) উপজেলার মনসুর নগর, চরগিরিশের ৮ টি এবং নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪ টি  চলমান রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ঘুরে দেখেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। 

এসময় তিনি জানান, "শুধু সরকারী বরাদ্দ নয়, এলাকার নেতাকর্মিগণও নিজেদের টাকায় এই কাজে সহায়তা করছেন। কারণ আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এই কাজ শেষ করতে হবে। নতুবা পরে মাটি পাওয়া যাবে না।"

মনসুর নগর ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন মাস্টার জানান, "আমাদের ইউনিয়নে এবার ৪ টি নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের জন্যে আমরা নিজেরা বিনা পয়সায় জায়গা দিয়েছি।"
 
কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা জানান, "বন্যার লেভেল থেকে উঁচু করে এই রাস্তাগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।"

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, "এবারই প্রথম ফ্লাড লেভেলের চিন্তা করেই চরের ৬ ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি চরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার কাজ পুরো শেষ হলে চরগুলোকে শহরের মত লাগবে।”  

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর