শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উল্লাপাড়ায় সেই মুক্তিযোদ্বার বাড়ি পরিদর্শনে ইউএনও

উল্লাপাড়ায় সেই মুক্তিযোদ্বার বাড়ি পরিদর্শনে ইউএনও

"উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ" শিরোনামে গত ২২ ও ২৩ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিরাজগঞ্জ কণ্ঠ ডটকমের  ২ পর্বের ধারাবাহিক   সংবাদ প্রকাশের পর সেই বাড়ি পরিদর্শন করেছেন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃআরিফুজ্জামান। এ সময় তার সাথে ছিলেন  উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী খোরশেদ আলম ও মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার হোসেন । তারা সরেজমিনে জায়গা টি পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন।

দৈনিক যুগের কথায় "উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ"  শিরোনামে সংবাদ  প্রকাশের পর সকালেই আদালতের নির্দেশনা থাকায় উল্লাপাড়া মডেল থানা সেই জায়গাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে।  


এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন আমি বিষয় টি জানার পরই দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য  উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে জানিয়েছি। আজ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের খোঁজখবর জানতে গিয়েছিলাম। ওই জায়গা নিয়ে মুক্তিযোদ্বার পরিবার যেহেতু  আদালতে আপিল করেছে,তাই সেটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দু পক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বলা হয়েছে।

নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম দেলোয়ার হোসেনের  এস,এ ৮২৪ আর,এস ১১৭৬ দাগের  ৪১ শতক জায়গা দীর্ঘদিন যাবত  ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে নিয়ে  বসবাস করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসবাসকৃত সেই ৪১ শতক জায়গায় মধ্যে সোমবার সকালে  কবরস্থানের ২৭ শতক জায়গা দাবি করে  মধুপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম,মজিবুর প্রামানিক, আফসার আলী আসান ও আজাদ আলী গং এর নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জন লাঠি ও দেশী অস্ত্র নিয়ে  বাড়িঘর ভাংচুর,লুটপাট, গাছ কেটে জায়গা টি দখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে। একই সাথে তাদের বিরুদ্বে অভিযোগ মুক্তিযোদ্বার কবরের নেমপ্লেট সরিয়ে ফেলার।
উল্লেখিত জায়গা টি ১৯৮৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মাসে বড়পাঙ্গাসী গ্রামের মৃত আব্বাস মন্ডলের ছেলে ইউনুস আলী মন্ডলের কাছ  থেকে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন ক্রয় করে। সেই জমি বিক্রির ৩ মাস পর আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি একই বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় করে। তিনি আবার সেই সম্পত্তি হাসনা খাতুন  আন্না  নামে এক মহিলা নিকট বিক্রি করেন। হাসনা খাতুন আন্না একই সম্পত্তি মধুপুর কবরস্থানের নামে দানপত্র দলিল করে দেন।

ঘটনা টি ২০০৮ সালে প্রকাশ হওয়ার পর কবরস্থান কমিটি মুক্তিযোদ্ধার নামে ক্রয়কৃত জায়গা টি দখলের জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালায়। মুক্তিযোদ্ধার পরিবার নিজ ভিটেমাটি ছেড়ে না দেওয়ায় তাদের ওপর দলবদ্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত  নানারকম নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। বিষয় টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া সত্বেও তারা জোরপূর্বক মুক্তিযোদ্বার বাড়িটি কবরস্থানের নামে দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 
 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর