সংগৃহীত
দীর্ঘ ৭ বছরেও শেষ হয়নি সিরাজগঞ্জের ২১ কিলোমিটার সড়ক বর্ধিতকরণের কাজ। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালে শেষ করার কথা থাকলেও দফায় দফায় বেড়েছে মেয়াদ। ফলে ২৬৪ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩২ কোটি টাকায়। অসমাপ্ত কাজের কারণে বাড়ছে যানজটের ভোগান্তি, ঘটছে দুর্ঘটনাও। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এ দীর্ঘসূত্রিতা।
সিরাজগঞ্জ শহরের সঙ্গে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল সহজ করতে সয়দাবাদ থেকে নলকা পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১৮ সালের এপ্রিলে ২১ কিলোমিটার সড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার ৪ লেনে উন্নতকরণ ও বাকি অংশ দুইলেনে প্রসস্থকরণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যাতে ব্যয় ধরা হয় ২৬৪ কোটি টাকা।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই কাজ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা থাকলেও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। সেই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩২ কোটি টাকায়।
এরপর দীর্ঘ ৭ বছর পার হলেও এখনো শেষ হয়নি এ প্রকল্পের কাজ। সড়কের অসমাপ্ত অংশগুলোতে প্রায়ই লেগে থাকছে যানজট। মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীরা জানান, তারা চরম ভোগান্তির শিকার। মাঝে মাঝেই এখানে ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিছু কিছু জায়গায় কাজ হয়েছে আবার কিছু কিছু জায়গায় কাজ হয়নি এতে তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তারা।
বিশেষ করে শহরের কাটা ওয়াবদার মোড় থেকে কাজীপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশে এখনো বাকি রয়েছে অধিকাংশ কাজ। এলাকাবাসী বলছে, সময় মত কাজ শেষ না করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ পথে চলাচলকারীদের।
এলাকাবাসীরা জানান, এ সড়কে সবসময়ই যানজট লেগেই থাকে। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের এই দীর্ঘসূত্রিতা। অসমাপ্ত অংশের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ করার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, ‘আমাদের ভূমি অধিগ্রহণ দীর্ঘ সময়ের কাজ। এ পক্রিয়া সমাধান করতে আমাদের দীর্ঘ সময় লাগছে। এরইমধ্যে এ প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত হয়েছে। এখন আমরা আশা করছি প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজগুলো করতে পারব। আমাদের সর্বশেষ একটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জের এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করার দাবি শহরবাসীর।












