সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বিভীষিকার ১২ নভেম্বর আজ

বিভীষিকার ১২ নভেম্বর আজ

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ভোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লাখ লাখ মানুষ সেদিন প্রাণ হারায়। সেই ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে আজো বেঁচে রয়েছেন অনেকে।

স্বজন হারানো সেই বিভীষিকাময় দিনটি মনে পড়তেই আতকে উঠছেন কেউ কেউ। দিনটি স্মরণে আলোচনাসভা, সেমিনার, কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ধারণা করা হয়, প্রলয়ঙ্করী ওই দুর্যোগে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে ভোলা জেলায় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উত্তাল মেঘনা নদী আর তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের নদীতে। সে এক ভয়াবহ দৃশ্য।

১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয় এবং মধ্যরাত থেকেই ফুঁসে উঠে সমুদ্র। তীব্র বেগে লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসে পাহাড় সমান উঁচু ঢেউ। ৩০/৪০ ফুট উঁচু সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে লোকালয়ের ওপর। আর মুহূর্তেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষ, গবাদি পশু, বাড়ি-ঘর এবং ক্ষেতের সোনালি ফসল। পথে প্রান্তরে উন্মুক্ত আকাশের নিচে পড়েছিল কেবল লাশ আর লাশ। মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয় ভোলা।

স্থানীয় প্রবীণ সংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বন্যার পরে দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে। স্নেহময়ী মা তার শিশুকে কোলে জড়িয়ে পড়ে আছে মেঘনার পাড়ে। সোনাপুরের একটি বাগানে গাছের ডালে এক মহিলার লাশ ঝুলছে। এমনিভাবে মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মানুষ আর গবাদি পশু সেদিন বঙ্গোপসাগরের উত্তাল জলে ভেসে গেছে। জনমানুষ শূন্য হয়ে পড়েছিলো দ্বীপ জেলা ভোলা।’

তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও সংবাদকর্মী এম এ তাহের জানান, ভয়াল সে রাত কেটে গেলে পরদিন শুক্রবার শহরময় ধ্বংসস্তুপ দেখা যায়। প্রায় কোমর পানি ছিল সর্বত্র। চারধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল শুধু লাশ আর লাশ। পানি ভেঙে তিনিসহ বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ , সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহাজানসহ আরও অনেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করেন। সেদিন সবাই মিলে প্রায় সাড়ে তিনশ’ লাশ দাফন করেন।

এম এ তাহের আরও জানান, পরদিন জাতির পিতা বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে এক জাহাজ ত্রাণ নিয়ে আসেন ভোলায়। সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মনপুরা। তাই বঙ্গবন্ধু মনপুরায় এসে সবার মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

স্বজন হারানো পরিবারের একজন ভোলা প্রেস ক্লাবের সদস্য জহিরুল ইসলাম মঞ্জু। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার মাসহ পরিবারের লোকজনকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেদিনের জলোচ্ছ্বাস। প্রতিবছর এ দিনটি এলেই আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

সিরাজগঞ্জ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে জুনে
বেলকুচিতে জামান টেক্সটাইল পরিদর্শনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
রায়গঞ্জে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে ট্রেতে চারা উৎপাদন
সিরাজগঞ্জের নলকায় চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের আর্থিক অনুদান ও ট্রাইসাইকেল বিতরণ
চুরি প্রতিরোধে কাজিপুর থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
শাহজাদপুরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও শরবত বিতরন
সিরাজগঞ্জে মে দিবসের আলোচনা সভায় হেনরী এমপি
গরমে সুপেয় পানি ও শরবত বিতরন করলেন সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ
বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
কামারখন্দে শ্রমিকদের সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন যুবলীগ