মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কামতা এলাকায় বেগুনের আবাদ করে লাভবান হয়েছেন চাষি সাত্তার মিয়া। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে বেগুন চাষ করে তিনি অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। বেগুন চাষে তাকে সফল হতে দেখে আরো অনেকেই বেগুন চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
জানা যায়, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া, ফকুরহাটি ও সদর উপজেলার আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় এখন শীতকালীন সবজির আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা তাদের জমির পরিচর্যা ও সবজি বাজারজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিটি সবজি আবাদ করতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই মাস, যা কিনা অন্য কোন ফসলে সম্ভব না। আর অল্প খরচেই সবজির আবাদ করা যায়। অল্প পুজি আর স্বল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায় বলে সাটুরিয়ার অঞ্চলের চাষিরা সবজি চাষে ঝুঁকেছেন।
বেগুন চাষি সাত্তার মিয়া বলেন, আমার চাষের কোনো জমি নেই। তাই এবছর ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বেগুনের চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। আগে অন্যান্য ফসলের আবাদ করতাম। তেমন লাভ না হওয়ায় গত ৪ বছর যাবত সবজি আবাদ করছি।
তিনি আরো বলেন, ১ বিঘায় বেগুন চাষে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। জমিতে যা বেগুন আছে আরো ২০-২৫ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। বর্তমানে আমার থেকে অনেকে বেগুন চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন। আর সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের আব্দুল রহিম মিয়া বলেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতাম। করোনার সময় চাকরি চলে যাওয়ায় বাড়িতে এসে সাত্তার ভাইকে সবজি চাষ করতে দেখি। তাকে দেখে আমিও নিজের জমি ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সবজির আবাদ শুরু করি। সবজি চাষ করে অনেক ভালে অবস্থানে আছি। চাকরি থেকে আমার সবজি চাষ অনেক ভালো ও লাভের।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে সবজি চাষে আমাদের সাটুরিয়া অনেক সুনাম অর্জন করেছে। এই উপজেলার অনেক চাষি বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। আর বেগুন চাষ করে সাত্তার মিয়া অভাবনীয় সফলতা পেয়েছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা সবজি চাষিদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
