শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষ শুরু করে সফল ব্যবসায়ী

ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষ শুরু করে সফল ব্যবসায়ী

মাশরুম চাষি সাগর আলী বলেন, ‘গত বছরের শেষের দিকে মাশরুম খামার গড়ে তুলি। সবমিলে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। খরচের টাকা উঠে কিছু লাভও হয়েছে। বর্তমানে খামারে মাশরুম বীজ আছে তা থেকে আগামী তিন মাস বিক্রি করা যাবে মাশরুম। আশা করছি তিন মাস মাশরুম বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকার আয় করতে পারব।’

নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তিপুর ইউনিয়ন বিনে ফতেপুর গ্রামের সাগর আলী। পড়াশোনা করেছেন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। আবাদের জন্য তেমন কৃষি জমি নেই। গত ১৪-১৫ বছর যাবৎ নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তার পাশে বাজারে সবজি বিক্রি করে আসছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউটিউবে মাশরুম চাষের একটি ভিডিও দেখে সিন্ধান্ত নেন তিনি মাশরুম চাষ করবেন। এর পর মার্চ মাসের শুরুর দিকে যশোর ডিএম সেন্টার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চারদিনের একটি কোর্স করেন মাশরুম চাষের ওপর।

এরপর অক্টোবর মাসে সেখান থেকে কিছু বীজ সংগ্রহ করে নিজ বাড়ির পাশের জায়গায় শুরু করেন মাশরুম চাষ। তার খামারে বর্তমানে দুই কেজির একটি স্পন প্যাকেট করা ৩০০টি মাশরুমের স্পন রয়েছে।

খড়, কাঠের গুঁড়া, কাগজ, গমের ভুসি, বীজ, ছাঁউনিসহ সবমিলে খরচ হয়েছিল ১৫ হাজার টাকার মতো। ইতোমধ্যে তিনি মাশরুম বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। আগামী তিন মাস যাবৎ তিনি তার খামার থেকে মাশরুম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

প্রতিদিনই সাগরের মাসরুমের খামার দেখতে আসছেন অনেকই আবার কেউবা মাশরুম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা তার এই সফলতা দেখে আগামীতে এমন উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান।

স্থানীয় বিনে ফতেপুর গ্রামের বুলবুলি বেগম বলেন, ‘সাগর চাচার মাশরুম খামার দেখে খুবই ভালো লাগছে। একবার বীজ ৩০ থেকে নাকি ৩৫ বার ফলন পাওয়া যায়। আমরাও বাড়ির ফাঁকা জায়গায় এমন মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা করছি।’

সাজ্জাত হোসেন নামের স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘সাগর চারমাস আগে থেকে এখানে মাশরুম চাষ শুরু করেছে। বর্তমানে তিনি সফল একজন চাষি। সবজি বিক্রির পাশাপাশি মাশরুম চাষ করে থাকেন। প্রথম মাসেই তিনি মাশরুম চাষে লাভবান হয়েছেন। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব, আমরা এমন উদ্যোগ নিব বলে ভাবছি।’

নওগাঁ শহরের থানার মোড় এলাকা থেকে মাশরুম কিনতে এসেছেন আব্দুল্লাহ আল মুসাব্বের। তিনি বলেন, ‘বাজার থেকে মাশরুম কিনলে অনেক সময় কীটনাশক যুক্ত হয়। যার কারণে ফ্রেস ও টাটকা মাশরুম যাতে পাই, সেজন্য সাগর ভাইয়ের এখানে এসেছি। মাশরুম খামার থেকে সংগ্রহ করে ৩০০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি কিনলাম।’

মাশরুম চাষি সাগর আলী বলেন, ‘খড়, কাঠের গুঁড়া, কাগজ, গমের ভুসি, ইত্যাদি দিয়ে ওয়েষ্টার জাতের মাসরুমের খামার গড়ে তুলেছি। প্রথম স্পন প্যাকেট থেকে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। দুই কেজির একটি স্পন প্যাকেট থেকে প্রায় দুই কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি মাশরুম বিক্রি করে থাকি। প্রতি কেজি কাঁচা মাশরুম পাইকারি ২৫০ এবং খুচরা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকি। যশোরে চার দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম।

‘গত বছরের শেষের দিকে মাশরুম খামার গড়ে তুলি। সবমিলে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। খরচের টাকা উঠে কিছু লাভও হয়েছে। বর্তমানে খামারে মাশরুম বীজ আছে তা থেকে আগামী তিন মাস বিক্রি করা যাবে মাশরুম। আশা করছি তিন মাস মাশরুম বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকার আয় করতে পারব।’

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর