সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর আসনের উপ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫১.৭৫ শতাংশ। আ.লীগ প্রার্থী তানভীর শাকিল জয় পেয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট। ধানের শীষ মার্কায় বিএনপির সেলিম রেজা পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট। ফলাফল বিশ্লেষণ- ৭ নং খাসরাজবাড়ী ইউনিয়ন
মোট ভোট কেন্দ্র ০৮ টি। এই ইউনিয়নে আ.লীগের উপজেলা পর্যায়ের নেতা হলেন মহিলা আ.লীগের সভাপতি রেহানা খাতুন। কাজ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক, গোলাম হোসেন, মতিযার রহমান, যুবলীগের সাবেক নেতা বেল্লাল হোসেন প্রমূখ।
কাজিপুরের এই ইউনিয়নটি ভৌগোলিকভাবে অনেকখানি পশ্চাদপদ এলাকা। এর চারপাশেই পানি। আয়তনেও অনেক ছোট। বলা চলে মূল কাজিপুর থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ ইউনিয়ন খাসরাজবাড়ী। এবারের নির্বাচনে এখানকার নেতাকর্মিরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন।
এই ইউনিয়নে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তিগাছা সপ্রাবি কেন্দ্র। এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মতিয়ার রহমান।সাথে ছিলেন আব্দুর রশিদ মাস্টার প্রমূখ। মোট ভোটার ১০০৬। ভোট পড়েছে ৫৪৩। শতকরা হার ৫৩.৯৮। ধানের শীষ ১ ভোট। এটাই এই ইউনিয়নের সেরা ফলাফল।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজবাড়ী দক্ষিন পাড়া সপ্রাবি কেন্দ্র । এখানে কাজ করেছেনে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, উপজেলা মহিলা আ.লীগ সভাপতি রেহানা খাতুন। সাথে ছিলেন মোতাহার হোসেন । মোট ভোটার ৯২৬। ভোট পড়েছে ৪৯৮ শতকরা হার ৫৩.৭৮।
তৃতীয় অবস্থানে খাসবাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আ.লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক, মহির উদ্দিন, কৃষকলীহ নেতা বাবলু। মোট ভোটার ১১০৩। ভোট পড়েছে ৫৯১। ধানের শীষ ১ টি। শতকরা হার ৫৩.৫৮।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে উজান মেওয়াখোলা(উত্তরপাড়া) সপ্রাবি কেন্দ্র। ভোটের মাঠে ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম ভুলু, কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
মোট ভোটার ৮২৩। ভোট পড়েছে ৩৭২। শতকরা হার ৪৫.২০। বেল্লাল হোসেন জানান, ‘আমাদের কেন্দ্রে যারা উপস্থিত ছিলো তারা শতভাগ ভোট নৌকায় দিয়েছে। সর্ব উত্তরের বিধায় অনেকেই এলাকায় থাকেন না।’
পঞ্চম অবস্থানে উজান মেওয়াখোলা (মধ্যপাড়া)সপ্রাবি কেন্দ্র। এখানে নেতৃত্বে ছিলেন আয়নাল ফকির ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমূখ। মোট ভোটার ১২৮২। ভোট পড়েছে ৫৫৭। শতকরা হার ৪৩.৪৫। ধানের শীষ ১ ভোট।
ষষ্ঠ অবস্থানে পীরগাছা সপ্রাবি কেন্দ্র। এখানে ভোটের মাঠ সংগঠিত করতে কাজ করেছেন মোকাদ্দেস আলী মেম্বর, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এমদাদুল হক প্রমূখ। মোট ভোটার ১২৭৫। ভোট পড়েছে ৫৩৮। শতকরা হার ৪২.২০।এখানে ধানের শীষ পেয়েছে ২ ভোট।
সপ্তম অবস্থানে মহিমাপুর সপ্রাবি কেন্দ্র। এখানে ভোটের মাঠে ছিলেন সোবাহান মেম্বর, নুরুল হক প্রমূখ। মোট ভোটার ১১০৫। ভোট পড়েছে ৪৪১। ধানের শীষ ২ টি। শতকরা হার ৩৯.৯১।
অষ্টম অবস্থানে সানবান্দা সপ্রাবি কেন্দ্র। এখানকার ভোটের মাঠে ছিলেন দুলাল মেম্বর, মোকবুল হোসেন প্রমূখ। মোট ভোটার ৮৯১। ভোট পড়েছে ৩১২। শতকরা হার ৩৫.০২।
খাসরাজবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জানান, ‘ আমার ইউনিয়নটিই একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ । এখানে অনেকেই নিয়মিত বসবাস করেন না। প্রায়ই তারা স্থান পরিবর্তন করেন। নদী ভাঙনের কারণে তারা নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে গেছে।’ তবে এবারের ভোটে নেতাকর্মিদের প্রচেষ্টা ছিলো চোখে পড়ার মতো।’
আলোকিত সিরাজগঞ্জ