শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ক্যাচ মিসের মহড়ায় চট্টগ্রামের বিদায়, পরের পর্বে বরিশাল

ক্যাচ মিসের মহড়ায় চট্টগ্রামের বিদায়, পরের পর্বে বরিশাল

সংগৃহীত

ক্রিকেটে একটি প্রবাদ খুব প্রচলিত- ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। প্রবাদটি যে কতটা সত্য আর নিষ্ঠুর, সেটাই যেন টের পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কারণ ক্যাচ মিসের মহড়া না দিলে ম্যাচের ফল হয়তো অন্যরকমও হতে পারতো!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে প্লে অফ পর্বে এলিমিনেটরের লড়াইয়ে আজ ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যেখানে চটগ্রামকে ব্যাটে-বলে নাস্তানাবুদ করে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় বরিশাল। বাকি ছিল আরো ৩১ বল। দাপুটে জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে তারা।

এদিন রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য খাতা খোলার আগেই আউট হন সৌম্য সরকার। সেই ধাক্কা সামাল না দিতেই তামিমের উইকেট হারাতে বসেছিল বরিশাল। তবে সৈকত আলী সেই ক্যাচ মিসের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচটাও যেন হাত থেকে ফেলে দেন।

এরপর তামিম আরো একবার জীবন পেয়েছেন। কাইল মেয়ার্সও পেয়েছেন একবার। মাঝে মিরপুরে ঝড় তুলে জয়ের তীরে দ্রুত ভিড়েছে বরিশালের জাহাজ। মেয়ার্স ৫০ ও ডেভিড মিলার ১৭ রানে আউট হলেও তা জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি।

শেষ পর্যন্ত দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। তিনি ৫২ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। চট্টগ্রামের হয়ে শুভাগত, বিলাল খান ও শেফার্ড একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার জশ ব্রাউন।

শুভাগত হোমের ২৪, টম ব্রুসের ১৭, সৈকত আলী ও রোমারিও শেফার্ডের ১১ রানের ইনিংসগুলোতে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। বরিশালের হয়ে মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয় দুটি করে এবং তাইজুল ও ফুলার একটি করে উইকেট নেন।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: