সংগৃহীত
মানুষের দেহের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ মস্তিষ্ক। এতে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ ধরনের কোষ রয়েছে। বহুদিন ধরেই দেহের অতি প্রয়োজনীয় এ অঙ্গ নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কেউ গবেষণা করছেন মস্তিষ্কের অজানা তথ্য বের করতে, কেউ বা নানা ধরনের চিপ বসাচ্ছেন রোগ থেকে মুক্তির আশায়।
এবার সেই গবেষণায় যুক্ত হলো নতুন মোড়। মস্তিষ্কের নিউরন এবং সিন্যাপ্স যেভাবে কাজ করে, তা অনুকরণ করে সম্প্রতি যৌথভাবে একটি নিউরোমরফিক চিপ তৈরি করেছেন চীন ও সুইস বিজ্ঞানীদের একটি দল। তাদের আবিষ্কৃত চিপটি আরো বিদ্যুত্সাশ্রয়ী হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত নিবন্ধের বরাতে এক প্রতিবেদনে সিআরআই জানিয়েছে, মানব মস্তিষ্কে আছে জটিল ও বিস্তৃত নিউরাল নেটওয়ার্ক। এর ভেতর কোটি কোটি প্রক্রিয়াকরণ হলেও খরচ হয় মাত্র ২০ ওয়াটের মতো বিদ্যুত্শক্তি। তাই নিউরোমরফিক বা মস্তিষ্কের মতো দেখতে মাইক্রোচিপ কম বিদ্যুতেই বেশি বেশি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে।
সুইজারল্যান্ডের সিনসেন্স এজি করপোরেশন ও চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব অটোমেশনের গবেষকদের তৈরি ‘স্পেক’ নামের চিপটি যখন অলস থাকে তখন মাত্র দশমিক ৪২ মিলিওয়াট বিদ্যুত্ ব্যবহার করে। বলতে গেলে এটি অব্যবহূত অবস্থায় কোনো বিদ্যুতেই খরচ করে না। এই চিপের ফ্রেমওয়ার্কে গবেষকরা মানব-মস্তিষ্কের মতো ‘অ্যাটেনশন-বেইজড’ কাঠামো ব্যবহার করেছেন। এর মানে হলো, যখন যা ইনপুট আসবে সে অনুযায়ী প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করবে এটি।
এদিকে সম্প্রতি মানুষের মস্তিষ্কে অতি ক্ষুদ্র চিপের সফল স্থাপন করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ওই রোগী এখন ভালোভাবে সেরে উঠছেন। আর নিউরালিংক জানিয়েছে, চিপের মধ্যে যে ‘অতি সূক্ষ্ম’ সুতার মতো বস্তু আছে, তা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মানুষের মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক