বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অবশেষে সাপের বিষের কার্যকর অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

অবশেষে সাপের বিষের কার্যকর অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

সংগৃহীত

প্রতিবছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এক লাখের বেশি মানুষ সাপের কামড়ের পর বিষক্রিয়ায় মারা যান। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত একেকটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আলাদা অ্যান্টিভেনম তৈরি করতে হয়।

তবে এবার নতুন একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের দাবি করেছেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন গবেষণা সংস্থা স্ক্রিপস রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, কিং কোবরা, ব্ল্যাক মাম্বার মতো সাপের বিষের বিরুদ্ধে এটি কাজ করছে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে অ্যান্টিবডিটি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

গবেষণা সংস্থা স্ক্রিপস রিসার্চের এই বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন অ্যান্টিবডিটি আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সমানভাবে কাজ করে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাইনটি ফাইভ ম্যাট ফাইভ’।

বিজ্ঞানীরা জানান, অ্যান্টিবডিটি আবিষ্কারের সময় সাপের বিষের ইলাপিড থেকে প্রোটিনকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় থ্রি-ফিঙ্গার টক্সিন বা থ্রিএফটিএক্স নামের এক ধরনের প্রোটিনের খোঁজ পান। এই প্রোটিন খুবই বিষাক্ত। তাই থ্রিএফটিএক্স প্রোটিনকে দুর্বল করতে গবেষণা শুরু করেন তারা।

অবশেষে ‘নাইনটি ফাইভ ম্যাট ফাইভ’ নামে একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কারে সক্ষম হন, যা বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে তারা সব জাতের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিভেনম তৈরির জন্য কাজ করছেন।

সেজন্য নাইনটি ফাইভ ম্যাট ফাইভ অ্যান্টিবডির সঙ্গে প্রচলিত বাকি ৩টি অ্যান্টিবডি মিশিয়ে একটি ককটেল অ্যান্টিভেনম তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেটি সব ধরনের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে আশাবাদী তারা।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: