বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধূমকেতুর আঘাতেই ঘায়েল হয়েছিল ডাইনোসর!

ধূমকেতুর আঘাতেই ঘায়েল হয়েছিল ডাইনোসর!

প্রায় প্রতিদিনই বিশাল বিশাল ধূমকেতু আঘাত হানছে পৃথিবীতে। পাশাপাশি ফুঁসে উঠছে আগ্নেয়গিরি। সময়টা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগের। সে সময়ে পৃথিবীর বাসিন্দা বলতে ডাইনোসর। তারপর একদিন হঠাৎই তারা বিলুপ্ত হয়ে গেল এই গ্রহ থেকে।

গবেষকেরা বহুদিন থেকেই এভাবে ডাইনোসরদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। ভাবছেন, কেননা, এই রহস্য ভেদ হলে সেই সময়কার পৃথিবীর ভূগোল-বিজ্ঞান-ইতিহাস সবটাই জানা সহজ হবে। অবশেষে খুলল সেই সাড়ে ছয় কোটি বছরের রহস্যের জট।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে অনেকটা আলো ফেলেছে। তারা বলছে, ডাইনোসরদের বিলুপ্তির রহস্য লুকিয়ে। আর সেই রহস্য আছে মেক্সিকোর এক গহ্বরে।

গহ্বরের নাম চিকসুলুব। গবেষকেরা দেখেছেন এই গুহায় ছড়িয়ে রয়েছে মহাজাগতিক ধুলা,পাওয়া গিয়েছে ইরিডিয়াম। এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের জীবাশ্মের সঙ্গেও পাওয়া গিয়েছে। এর মানে হল, এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের সময়েও ছিল।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, চিকসুলুব ইম্প্যাক্টর হল এক দানব গ্রহাণু যা, পৃথিবীর উপর এসে পড়েছিল। এর ফলে মেক্সিকান পেনিনসুলায় এক বিশাল গহ্বর তৈরি হয়ে যায়। আসলে পেট্রোলিয়ামের খোঁজ করতে গিয়েই এই গহ্বরটির খোঁজ মেলে। আর তখনই বিজ্ঞানীদের টনক নড়ে। সেখান থেকেই শুরু হয় গবেষণা। মেলে মহাজাগতিক ধুলোও।

আসলে একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, অ্যাস্টেরয়েডরাই আমাদের গ্রহে প্রাণ বহন করে আনে। তারা নানা অণুজীব, বরফ ইত্যাদি বহন করে এনেছিল। ফলে সেই বিজ্ঞানীর দল, এই চিকসুলুবের তথ্যে উল্লসিত হচ্ছেন। তাঁরা দাবি করছেন, এ ভাবেই ক্রমশ জানা যাবে, ধূমকেতুর মাধ্যমেই নানা রাসায়নিক কণা, নানা প্রয়োজনীয় জীবাণু, সমুদ্রজল এসেছে পৃথিবীতে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ