
সংগৃহীত
মানুষের অন্তরকে গুনাহ প্রবণ হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ স্বভাবগত কারণে গুনাহের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আপনি বলুন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার ৫৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তিনি চার শর্তে বান্দাকে ক্ষমা করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—
আর আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তারপর সৎপথে অবিচল থাকে। (সুরা ত্বহা, আয়াত : ৮১)
অর্থাৎ মাগফিরাত বা আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা লাভের জন্য চারটি শর্ত রয়েছে। এক. তাওবা। অর্থাৎ বিদ্রোহ, নাফরমানী অথবা শিরক ও কুফরি থেকে বিরত থাকা। দুই. ঈমান। অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসূল এবং কিতাব ও আখেরাতকে খাটি মনে মেনে নেওয়া।
তিন. সৎকাজ। অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসূলের বিধান অনুযায়ী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে ভালো কাজ করা। চার, সত্যপথাশ্রয়ী হওয়া। অর্থাৎ সত্য সঠিক পথে অবিচল থাকা এবং তারপর ভুল পথে না যাওয়া।
ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, সন্দেহ না করা।
সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা।
কাতাদাহ বলেন, মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর থাকা।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট