মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর হাওয়া (আ.)-কে তার জীবনসাথিরূপে সৃষ্টি করেন এবং তাদের বিয়ের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা আজও পৃথিবীতে চলমান।
পবিত্র কোআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে- وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি বিয়ে করল, সে ঈমানের অর্থেক পূর্ণ করল। অতএব বাকি অর্ধেকে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। (সহিহুল জামে, হাদিস: ৬১৪৮)
অর্থ: ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে স্বচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’। (সূরা: আন নুর, আয়াত: ৩২)
কোনো সাহাবাদের মতে, শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে এই মাসে বিয়ে করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, আয়েশা (রা.) বলেন : রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বিয়ে করেন শাওয়াল মাসে এবং শাওয়াল মাসেই আমাদের বাসর হয়। আর আয়েশা (রা.) শাওয়ালে তার (সম্পর্কীয়) মেয়েদের বাসর হওয়া পছন্দ করতেন। (তিনি বলতেন) : তার কোনো স্ত্রী তার কাছে আমার চাইতে অধিক ভাগ্যবতী ছিল? (নাসায়ি, হাদিস : ৩২৩৬)
ইমাম নববী (রহ.) সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে এই হাদিস উল্লেখ করার পর বলেন, এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় যে শাওয়াল মাসে বিয়ে দেওয়া, বিয়ে করা ও বাসর করা মুস্তাহাব। আমাদের পূর্বসূরিরাও এই হাদিস দ্বারা শাওয়াল মাসে বিয়ে মুস্তাহাব হওয়ার দলিল দিতেন।
আয়েশা (রা.) এই মাসে বিয়ে মুস্তাহাব বলার কারণ হলো, জাহেলি যুগে এই মাসে বিয়ে দেওয়া, করা ও বাসর করাতে অপছন্দনীয় মনে করা হতো। যার কোনো ভিত্তি ছিল না।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ