• শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩০

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বেতনহীন বিআরডিবির কয়েক হাজার কর্মী!

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৯  

মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাস্টার রোলের কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। চাকরি স্থায়ী হবে এ আশায় দিনযাপন করছেন এসব কর্মী। তবে আদৌ তাদের চাকরি স্থায়ী হবে কিনা তার কিছুই জানেন না তারা।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, বিআরডিবির কিছু কিছু প্রকল্প এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই সব প্রকল্পের কর্মীরা কী করবেন তার সঠিক কোনো নির্দেশনা নেই। আশায় থেকে অনেকের অন্য চাকরির বয়সও ইতিমধ্যে শেষ। চেষ্টা-তদ্বির সত্ত্বেও কোন ফল না পেয়ে শূন্য হাতে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই।

প্রকল্পগুলোতে প্রায় আট থেকে দশ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। যাদের রাজস্ব খাতে নেয়ার দাবি অনেক পুরনো। এই দাবির বিষয়ে তাদের পক্ষে আদালতেরও রায় রয়েছে। কিন্তু সবকিছুই উপেক্ষিত। পদ শূন্য থাকলেও নিয়োগ নেই।  

জানা গেছে, প্রকল্পের অধীনে হওয়ায় এসব কর্মচারীদের সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আর যেসব প্রকল্প ছিল তার অনেকগুলোই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো আছে তার অনেকগুলোই চলছে ঢিমেতালে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা, স্বজনপ্রীতি, দূরদর্শিতার অভাব, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা রাজস্বখাতে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী বলেন, শূন্যপদে তারা নিয়োগ না পেলেও প্রকল্পগুলো থেকে কর্তা ব্যক্তিরা ঠিকই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিআরডিবির সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম বলেন, এর দায় কর্তৃপক্ষের। তাদের কারণেই বেতন পাচ্ছেন না কর্মচারীরা। বড় বড় কর্তারা চান না এই প্রতিষ্ঠানটি বাঁচুক।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরডিবির উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ সৃষ্টি না হলে নিয়োগ হবে কিভাবে? পদ আছে ২৮শ’র মত। কিন্তু জনবল আছে ৭-৮ হাজার। এর জন্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া, প্রকল্পের অনেক কর্মচারী স্থায়ীকরনের জন্য মামলা করেছে। মামলার পর এই বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, উৎপাদন মুখি কর্মসংস্থান কর্মসূচি (পিইপি), পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি (পদাবিক) এই দুটি প্রকল্পের আওতাভূক্তদের স্থায়ীকরনের জন্য জনপ্রশাসন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল তবে অর্থমন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়নি।

এদিকে, অনেকটা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন এসব কর্মীরা। আবার স্থায়ীকরনের বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায় আইনী ও দাপ্তরিক ঝামেলার কারণে স্থায়ী করা যাচ্ছেনা তাদের।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ