বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে ঈদ সামনে রেখে শাড়ি-লুঙ্গি তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে

ঈদ সামনে রেখে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও এনায়েতপুর,সহ অন্যান্য এলাকায় তাঁত কারখানাগুলো। ঈদে ব্যাপক চাহিদার কারণে কারখানার তাঁতি ও শ্রমিকেরা এখন শাড়ি-লুঙ্গি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দিন-রাত চলছে বুননের নানা কাজ। জেলার পাইকারি হাটগুলোতেও বেচাকেনা এখন তুঙ্গে। জানা যায়,তাঁতশিল্পে সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জে চৌহালী উপজেলাধীন এনায়েতপুরসহ সিরাজগঞ্জের অন্যান্য এলাকায় ১৪ হাজার ৮৪৯টি তাঁত কারখানা রয়েছে।

এসব কারখানায় ৪ লাখ ৫ হাজার ৬৭৯টি তাঁত রয়েছে। এতে ২০ লাখ ৮ হাজার মানুষ নিয়োজিত থেকে শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি,গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । বর্তমানে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এনায়েতপুর থানার খামার গ্রামের তাঁতশ্রমিক রনজিৎ কুমার সরকার, সুজন মিয়া,এনামুল হক ও গোপালপুর গ্রামের নুর হোসেনসহ অনেকে বলেন,আগে যেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেছি।

ঈদ উপলক্ষ্যে ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা দামের সুতি জামদানি,বুটিক,ইকট, সিল্কসহ বাহারি নকশার অন্যান্য শাড়ি এবং ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার লুঙ্গি বাজারে এনেছেন তাঁতিরা ।

এ ব্যাপারে এনায়েতপুর থানার একটি মিলের এমডি তফাজ্জল হোসেন বাবলু ও আরেক মিলের স্বত্বাধিকারী মাঈদুল ইসলামস মিন্টু বলেন,'ঈদ আমাদের প্রধান মৌসুম। এ সময় চাপ ও বিক্রি বেশি হয় । আশা করছি, চলতি মৌসুমে জেলার তাঁতিরা প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করবেন। তবে, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে লাভের পরিমাণ আশা অনুযায়ী হবে না।

তাই রং, সুতাসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমাতে হবে।' এদিকে এখানে উৎপাদিত শাড়ির গুণমান ভালো হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।খামার গ্রামের সফল জাতীয় কারুশিল্পী পদকপ্রাপ্ত তাঁতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন,'ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ভারতে শতকোটি টাকার সুতি শাড়ি রপ্তানি হয়েছে। আমিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি রপ্তানি করেছি ।