বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

মায়ের স্বপ্ন পূরণ: হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরলেন সিরাজগঞ্জের ছেলে

মায়ের স্বপ্ন পূরণ: হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরলেন সিরাজগঞ্জের ছেলে

সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ঢাকা) থেকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শ্যামপুর দারুল উলূম কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে মালায়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান তোতা মিঞা মা সহ পাঁচজনকে নিয়ে নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে ফিরলেন। মায়ের স্বপ্ন পূরন করলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান তোতা মিঞা ।

মিজানুর রহমান তোতা মিঞা সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী- মোছাঃ শান্তি বেগম দম্পতির তৃতীয় ছেলে।

২৮ ফেব্রæয়ারী (বুধবার) দুপুর আড়াই টার সময় কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নে শ্যামপুর দারুল উলূম কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে তাঁর মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই ও শ্বশর সহ পাঁচজনকে সাথে নিয়ে নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে ফিরলেন।

হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়ি পৌঁছার পর তাকে তার ছোট হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে বরণ করেন এলাকাবাসী। মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরবেন শুনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মানুষ মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। এই দৃশ্য দেখতে দারুণ খুশি হয়েছেন তাদের স্বজন ও এলাকাবাসীরা। গ্রামের মানুষ কখনো হেলিকপ্টার কিভাবে মাটি ছোঁয় তা দেখেননি। হেলিকপ্টার কখনো এতো কাছ থেকেও দেখিনি অনেকেই। প্রচÐ শব্দ ও বাতাসে চারদিকে যেন ভ‚মিকম্প। নিরাপত্তার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে কামারখন্দ থানা পুলিশ।

৬০ বছর বয়সী নওশের আলী, জীবিকার তাগিদে গত প্রায় ১৭ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন মিজানুর রহমান তোতা মিঞা। তার আয়ে সচ্ছল এখন পুরো পরিবার। শুধু তাই নয়, তার সহায়তায় উপকৃত হয়েছেন নিকট আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার মানুষ। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থাকেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান তোতা সাংবাদিকদের বলেন, মায়ের স্বপ্ন ছিল বিদেশ থেকে ঢাকায় আসার পর মাকে নিয়ে হেলিকপ্টার করে বাড়ি ফিরবো। সেই স্বপ্ন প‚রণ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার মতো প্রত্যেক সন্তানের উচিত মায়ের স্বপ্ন প‚রণ করা। আমার হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরায় এলাকাবাসীও খুশি হয়েছে ও ফুল দিয়ে বরণ করেছেন।

ছোটভাই মো. মোকবুল প্রামানিক বলেন, হেলিকপ্টার ভাড়া প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঢাকাতে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে সময় লেগেছে মাত্র ২০ মিনিট মতো।

প্রবাসীর বন্ধুরা জানান, আমার বন্ধুর অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল আমি প্রবাস থেকে বাড়ী ফিরতে মাকে নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে ফিরবেন। সেই স্বপ্ন আজ তার পূরন হয়েছে। তার আরো একটি আশা ছিল গ্রামে একটি অট্টলিকা করবেন সে টাও বন্ধু করেছেন। তোতা মিঞা একজন খুব সৎ মানুষ সব সময়ের জন্য মানুষের উপকার করতে পছন্দ করেন। এমন বন্ধু সকলে থাকা উচিত মনে করি আমরা বন্ধুমহল।

ছবি: হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তোতা ও তাঁর মাকে ফুল দিয়ে বরণ ও ছবি তোলেন এলাকাবাসী।