শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

যে ৩ প্রকল্প ঘিরে উত্তরবঙ্গের মানুষের স্বপ্ন (ভিডিও)

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ। এটা হলো উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার। এ ছাড়া এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ২ লেনের মহাসড়ককে ৪ লেনের প্রশস্ত মহাসড়কে উন্নীত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু।

এই ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে স্বপ্ন দেখছে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মহাসড়কের পাশাপাশি রেলযোগাযোগেও গতি ফিরবে।

এই ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২২ জেলার হাজার যানবাহন চলাচল করে। দুর্ভোগ কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গোলচত্বরের ১ কিলোমিটার দূর থেকেই ভাগ হয়ে যাবে বিভিন্ন জেলার যানবাহনগুলো। আধুনিক নির্মাণশৈলীতে থাকবে নানা এটি বাস্তবায়ন হলে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের যানজটের ভোগান্তি কমার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে বলে জানান প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান।

এ ছাড়া এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ২ লেনের মহাসড়ককে ৪ লেনের প্রশস্ত মহাসড়কে উন্নীত করা হচ্ছে। সাসেক ২ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক মানের ৪ লেনের মহাসড়কে থাকছে ৪টি ফ্লাইওভার, ২টি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ৩৯টি আন্ডারপাসসহ ধীরগতির পরিবহনের জন্য থাকছে আলাদা লিংক রোড। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়ে সঙ্গে সংযুক্ত হবে এই মহাসড়কটি। সে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার পাশাপাশি গতিশীল হবে উত্তরাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে সমান তালে এগিয়ে চলেছে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে নদীর দু’পারে দুটি প্যাকেজে দেশি বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের তত্ত্বাবধায়নে রাতদিন সমান তালে চলছে পাইলিং ও সুপার স্ট্রাকচার বসানোর কাজ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম জানান, এরই মধ্যে সেতুর ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে ৬টি স্প্যানের মূল কাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ২ লেনের এই সেতু দিয়ে প্রতিটি ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে।

আর এভাবেই বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ।

সর্বশেষ: