বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কদর বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ নার্সারির

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কদর বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ নার্সারির

সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ নার্সারির কদর বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, রাস্তার মোড়ে কিংবা পাড়ায়-মহল্লায় ভ্রাম্যমাণ নার্সারির ভ্যানের দেখা মিলছে। ফলজ, বনজ, ওষুধীসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা ও কলমকাটা গাছ-গাছালি মানুষের নজর কাড়ছে।

২০-১০০ টাকার মধ্যে এসব ভ্রাম্যমাণ নার্সারিগুলোতে মিলছে পছন্দের গাছ। ছাদ বাগান কিংবা অফিস বারান্দার টবে রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের পাতাবাহার ও ফুলের চারা গাছও কেনাবেচা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ নার্সারিতে। হাতের নাগালে সস্তায় এসব গাছের চারা কিনতে ভাসমান নার্সারিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নার্সারি ব্যবসায়ীরাও ঘুরে বেড়িয়ে এসব গাছ বিক্রি করে আয় করতে পারছেন হাজার হাজার টাকা।

সরেজমিনে লক্ষ্য করা গেছে, ভ্যান গাড়ীতে চারা গাছের পসরা সাজিয়ে বিভিন্ন অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ নার্সারির ভ্যান চালক। বৃক্ষপ্রেমীদের নজর কাড়ছে ভাসমান নার্সারিগুলো। হাতের নাগালে পেয়ে পছন্দের প্রয়োজনীয় গাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন পথচারীরা। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, উদ্যোক্তরা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজস্ব জমিতে নার্সারী ব্যবসা করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।গ্রামগঞ্জের বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও বিন্ডিংয়ে ছাদে ফল, সবজিসহ ফুলের বাগান শোভা পাচ্ছে।

বিশেষ করে দিনদিন মানুষের ছাদ বাগানের দিকে ঝুকেছেন। সবুজ ছাদ বাগানে মিলছে সৌখিনতার ছোঁয়া। উদ্যোক্তারা নিজস্ব বাগানের সৌন্দর্যবর্ধণে নতুন নতুন গাছ সংগ্রহে ভাসমান নার্সারির উপর আস্থা পাচ্ছেন। এতে এলাকায় ভ্রাম্যমাণ নার্সারির ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বাড়ছে।উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকার ছাদ বাগানী স্কুল শিক্ষিকা মাহবুবা খাতুন জানান, ২০ টাকায় জবা ফুলের চারা, ৫০ টাকায় গোলাপের চারা, ২৫ টাকায় কৃষ্ণচূরা মরিচ ও ১০ টাকায় ভালজাতের পেঁপের চারা মিলছে ভ্রাম্যমাণ নার্সারিতে। এসব চারা গাছ মাটির টবে কিংবা প্লাষ্টিকের পুরানো পাত্রে রোপণ করা সহজ। সস্তায় পছন্দের গাছের চারা সংগ্রহ করতে পেরে বাগানীরাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

রায়গঞ্জ পৌর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ নার্সারি থেকে ফুল গাছের চারা সংগ্রহ করতে আসা কাজল দাস ও সাইদী হাসান সাগর বলেন,বাড়ির আঙিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গাঁদা,গোলাপ ও বেলিফুল গাছের চারা ক্রয় করলাম।দাম অনেক কম পেয়েছি।অনেক দিনের শখ ছিলো বাড়ির আঙিনায় ফুল গাছের চারা রোপণ করবো কিন্তু হাতের নাগালে চারা না পাওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছিল না।মো. আসলাম শেখ (২২) নামে এক নার্সারি ব্যবসায়ী বলেন, তার বাড়ি ধনুট উপজেলার গোঁসাইহাট। নিজ জায়গায় নার্সারি ব্যবসা শুরু করেন।

একযুগ ধরে এই পেশায় আছেন তার বাবা। ভ্রাম্যমাণ নার্সারির জন্য ২টি ভ্যানগাড়ি রয়েছে তাদের। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ভ্যান গাড়িতে করে নিজস্ব নার্সারিতে উৎপাদিত গাছের চারা বিক্রি করেন তিনি। এতে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন।রায়গঞ্জ উপজেলার জয়ানপুর এলাকার নার্সারি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২৫ বছর ধরে নার্সারির ব্যবসা করছি। নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছি নার্সারি। বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য চারা গাছ ও কলমকাটা গাছের সমারোহ রয়েছে এখানে। এগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারসহ সাপ্তাহিক হাটের দিনে গাছের চারা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বৃক্ষ মেলায় অংশগ্রহন করছি।

সর্বশেষ: