 
				
					সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস পালন। এই পদ্ধতিতে হাঁস পালনে খরচ কম ও স্থা্নীয় বাজারসহ অন্যান্য জেলায় হাঁস ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে খামার ও খামারির সংখ্যা। এতে করে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্রমতে জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ২৩৬টি হাঁসের খামার রয়েছে। যদিও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে এর সংখ্যা। হাঁসের খামার করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এছাড়াও হাঁস পালন ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই পেশা আসছে বলে জানিয়েছেন এই অঞ্চলের খামারিরা।
উল্লাপাড়া উপজেলার খামারি মো. নুরুল ইসলাম জানান, পরিবারে অভাব অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই সংসারের অভাব ঘোচাতে প্রথমে ৯০০ হাঁসের বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ২ হাজার ৪০০ হাঁস রয়েছে । এই হাঁস পালনে বেশি পানিরও প্রয়োজন হয় না। হাঁসের খাবার ও গলা ডোবানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেলেই এরা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে বেঁচে থাকতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
একই উপজেলার সফল হাঁস পালনকারী মরিয়ম বেগম জানান, এলাকার একজন সফল খামারির পরামর্শ নিয়ে ৫০০টি হাঁসের বাচ্চা কিনেন। এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন রোগের কারণে কিছু হাঁস মারা গেলেও তার প্রায় সাড়ে ৩শ’ হাঁস ডিম দেয়া শুরু করে।হাঁসের ডিম বিক্রি করে নিজের সংসার খুব ভালো ভাবেই চলছে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, জেলায় ২৩৬টি হাঁস পালনের খামার রয়েছে। ভাসমান পদ্ধতিতে হাঁস পালনে খরচ অনেকটাই কম হয়। লাভ তুলনামূলক অনেক বেশি। খামারিদের হাঁস পালন বিষয়কও বিভিন্ন পরামর্শ, চিকিৎসা, টিকাসহ যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
 
			













