বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

তাড়াশে ভদ্রাবতী খাল পুনর্খনন: কপাল খুলছে সহস্রাধিক কৃষকের

তাড়াশে ভদ্রাবতী খাল পুনর্খনন: কপাল খুলছে সহস্রাধিক কৃষকের

চার কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভদ্রাবতী খালের ২৭ কিলোমিটার পুনর্খননের কাজ শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। এরই মধ্যে খালের বিভিন্ন অংশ পানিতে ভরে গেছে। কাজ শেষ হলে এ খালের পানি দিয়ে কম খরচে জমিতে সেচ দিতে পারবেন সহস্রাধিক কৃষক। আর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকেও চাষিদের মুক্তি মিলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন খনন কাজ না করায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছিল ভদ্রাবতী খাল। এক সময় সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চলনবিল অঞ্চলের কৃষকদের জমিতে সেচ দেয়াসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হতো এ খালটি। কিন্তু ভরাট হয়ে যাওয়ার কোনো কাজেই আসত না এ খাল।

তবে চলতি অর্থবছর এ অঞ্চলের কৃষকদের সুবিধার্থে টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সমিতির মাধ্যমে ভদ্রাবতী খালের ২৭ কিলোমিটার পুনর্খননের কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দক্ষিণ ও তালম ইউনিয়নের উত্তরে চলনবিলের বুক চিরে দুটি প্যাকেজে ভাগ হয়ে চলছে এর খননকাজ।

তাড়াশের তালম ইউনিয়নের কৃষক জামাল হোসেন জানান, এ খালের পানি দিয়ে খুব সহজেই জমিতে সেচ দেয়া যাবে। এতে সেচ খরচ কমার পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপও কমবে। সেই সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এতে ফসলের ফলনও বৃদ্ধি পাবে।

বারুহাস ইউনিয়নের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ভদ্রাবতী খালটি পুনর্খননের জন্য আমরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে খালটি খনন করে দিয়েছে। এতে আমাদের অনেক সুবিধা পাব। এতে এই অঞ্চলের সব কৃষক সুবিধা পানে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ভদ্রাবতী খালটি পুনর্খননে এই অঞ্চলের কৃষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। জলাবদ্ধতা দূর হয়ে জমিতে তিন ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। নৌপথের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় উপকারভোগীদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সমবায় অধিদফতরের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্যদের নিয়ে ৪২টি এলসিএস গ্রুপের মাধ্যেমে ভদ্রাবতী খালের ২৭ কিলোমিটার পুনর্খনন কাজ করা হচ্ছে। আর খনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ