বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাজিপুরে কোটি টাকার হাটের জায়গা উদ্ধার করে চলছে উন্নয়ন কাজ

কাজিপুরে কোটি টাকার হাটের জায়গা উদ্ধার করে চলছে উন্নয়ন কাজ

একের পর এক কাজিপুরের বিভিন্ন হাটের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে সাধারন মানুষের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।

উপজেলার ভানুডাঙ্গা, সোনামুখী, মাথাইল চাপড়, গান্ধাইল ও কালিকাপুর হাটের প্রায় কোটি টাকার সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্ত করে সেখানে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে কালিকাপুর হাটের জায়গা দখলমুক্ত করে মাটি কেটে উঁচু করে দোকানের জন্যে পজিশন বরাদ্দ দিয়েছেন।

মাথাইলচাপড় হাটের উন্নয়ন কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রতিটি হাটে সোলার প্যানেলের সহায়তায় সড়ক বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের মাঝখান দিয়ে চলাচলের জন্যে তৈরি হয়েছে ইটের রাস্তা। নির্মিত হয়েছে পাবলিক টয়লেট, বাথরুম আর পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা।  প্রতিটি হাটের কসাইখানার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।

সোনামুখী হাটের সবচেয়ে জরুরী পানি নিষ্কাশনের জন্যে অনেক গভীর ও চওড়া করে ড্রেন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরইমধ্যে এই হাটের জায়গাও বন্দোবস্ত দেয়া শুরু হয়েছে। হাটুরেরা এই উন্নয়ন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। আর ব্যবসায়ীরা এতোদিনে জায়গা বরাদ্দ পেয়ে নিজেদের মতো করে ঘর করতে শুরু করেছেন।

সোনামুখী হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘“জন্মের পরে এই হাটের উন্নয়নে অনেক প্রকল্পই নেয়া হয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে কাজ না হওয়ায় তা হাটুরেদের কোন উপকারে আসেনি। এবার ইউএনও স্যার দৃশ্যমান উন্নয়ন করছেন যাতে করে আমরা সবাই খুশি।”

 কথা হয় সোনামুখী হাটের সবজি ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, “ আমরা কল্পনাও করতে পারিনি বিনে পয়সায় দোকানের জন্যে পজিশন পাবো। জায়গা পেয়ে খুব ভালো লাগছে।”

  মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভানুডাঙ্গা হাটের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জানান, “ এই কাজগুলো করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার যেমন মুখোমুখি হয়েছি, তেমনি সাধারন মানুষের সাড়াও পেয়েছি। আর ব্যবসায়ীদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।

এসময় তিনি প্রয়াত এমপি মোহাম্মদ নাসিমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনিই আমাকে এই কাজ করবার আদেশ দিয়েছিলেন। কাজ হচ্ছে কিন্তু তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তবে এই উন্নয়ন কাজের মাধ্যমেই তিনি সবার মনের মণিকোঠায় থাকবেন।” উন্নয়ন কাজ ধরে রাখার জন্যে তিনি সংশ্লিষ্ট হাটের ইজারাদার. হাটুরে ও ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবার আহবান জানান।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ