রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে দুগ্ধ খামারিদের পাশে র‍্যাব, ন্যায্য মূল্যে কিনছেন দুধ

সিরাজগঞ্জে দুগ্ধ খামারিদের পাশে র‍্যাব, ন্যায্য মূল্যে কিনছেন দুধ

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের প্রভাবে ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। এদিকে করোনার প্রভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার হাজার হাজার প্রান্তিক দুগ্ধ খামারি।

দুধের কাঙ্কিত দাম ও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিক্রি করতে না পেরে ইতোমধ্যেই লোকসানে পরেছেন খামারিরা। দুধের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এবার দুগ্ধ খামারিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন  র‍্যাব ১২ এর সদস্যরা।

ইতোমধ্যেই তারা খামারিদের কাছ থেকে বাজার মূল্যে দুধ সংগ্রহ করে তা দিয়ে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করে সারা দেশে কর্মরত র‌্যাব সদস্যদের মাঝে উৎপাদন মূল্যে সরবরাহ করছেন। এর ফলে করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত খামারিরা তাদের উদ্বৃত্ত দুধের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন, তেমনি দেশজুড়ে র‌্যাব সদস্যদের পুষ্টির যোগান মিলছে।

র‌্যাব ১২ অধিনায়ক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের দুধের চাহিদার বড় একটি অংশের জোগান হয়ে আসছিল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উল্লাপাড়া এবং পাবনা জেলার বেড়া অঞ্চল থেকে। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে এসব খামারিদের জীবনে। বাজারে দুধের চাহিদা কমে যাওয়ায় অধিকাংশ খামারি কম মূল্যে তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

অনেক খামারি আবার রাগে-ক্ষোভে দুধ রাস্তায় ফেলে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটায়। এ অবস্থায় গত ২২ এপ্রিল থেকে র‌্যাব ১২ সদস্যরা সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে বাজারমূল্যে দুধ সংগ্রহ শুরু করে। সেই দুধ থেকে উৎপাদিত ঘি, দই, পনিরসহ নানা দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি করে তা দেশে কর্মরত র‌্যাব সদস্যদের মাঝে উৎপাদন মূল্যে সরবরাহ করা হয়। এই উদ্যোগটি জনপ্রিয় হওয়ায় ক্রমশ এর পরিধি বাড়ছে।

র‌্যাব-১২ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের বিষয়টি জানতে পেরে সাধুবাদ জানিয়েছেন র‌্যাবের মহা পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। একই সঙ্গে তিনি এই কর্মকান্ডকে আরো বড় পরিসরে চালিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত র‌্যাব-১২ সদস্যরা খামারিদের কাছ থেকে ১ লাখ লিটার দুধ বাজার মূল্যে ক্রয় করেছেন এবং এই দুধ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: