সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গনপতি রায় বলেন, গ্রাম আদালতের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। গ্রাম আদালতে সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক বিচার পায় সেদিক লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণ মানুষেরা যেন গ্রাম আদালতে সঠিক বিচার পায়, সেজন্য চেয়ারম্যানদের নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে তাদের মাঠ পযায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের সাথে গ্রাম আদালত ও অল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিচারিক সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করার জন্য জেলা প্রশাসক পরামর্শ প্রদান করে থাকেন এ ব্যপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, গ্রাম আদালত সক্রিয় করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করে দেখতে পেরেছি যে সেখানে কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদে বিচার কার্যক্রমের এজলাস নেই। আবার কোথায় কোথাও কিছু কিছু জায়গাঁয় আছে। আমাদের ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছে। বিভিন্ন জায়গাঁয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নেই সেই সকল জায়গায় প্যানেল চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কথা বলেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহাম্মেদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোঃ শরীফুল ইসলাম, মহিলা অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।













