
সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রাইভেটকার ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাতজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় ঢাকাগামী মহাসড়কে। ওই সময় ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই ‘ডেইলি যায়যায়দিন’ নামক একটি অনলাইন নিউজ পেজে ডাকাতির ভিডিওটি ভাইরাল হলে, তা দ্রুত দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে ৫ অক্টোবর যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। টিমে সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. একরামুল হোসেন (পিপিএম) এবং যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান যুক্ত ছিলেন।
পুলিশের চৌকস টিম ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযানে সাতজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মো. আলী (২৩), আজাদুল মেম্বার (৩৭), মো. রাশিদুল (৩০), মো. আশরাফুল (২৩), মো. আইয়ুব (২৩), শাহ আলী (২৯) এবং মো. বাবু (৩৫)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২২,৫০০ টাকা, তিনটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং একটি ধারালো রামদা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ডাকাত এবং দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসার কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধ দমনে পুলিশি অভিযান আগামীতেও আরও জোরদারভাবে অব্যাহত থাকবে।