
সংগৃহীত
ম্যাক্স গ্রুপ ৩৪তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতায় আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি। মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সের নীল জলে নেমে একের পর এক নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন তিনি। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনেই চারটি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন রাফি। এর আগে গতকাল একটি ব্যক্তিগত ও একটি দলীয় ইভেন্টে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন এই তরুণ সাঁতারু। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় রাফি ৬ রেকর্ডের অংশীদার।
আজকের দিনে রাফির প্রথম রেকর্ডটি আসে ২০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়াল মিডলেতে। তিনি গত বছর নিজের করা রেকর্ডটি ভেঙে এবার সময় নিয়েছেন ২ মিনিট ৮.৯২ সেকেন্ড, যা তার আগের ২ মিনিট ৯.৯৯ সেকেন্ডের চেয়েও দ্রুত। এরপর ৫০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে তিনি ২৫.১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন, যা ২০২২ সালে মাহামুদুন্নবী নাহিদের গড়া রেকর্ড ভেঙেছেন।
সামিউল ইসলাম রাফির আজ দিনের তৃতীয় রেকর্ড ছিল ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। তিনি ৫২.৪২ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১২ বছর আগে করা মাহফিজুর রহমানের রেকর্ড (৫২.৮৮ সেকেন্ড) ভাঙেন। দিনের চতুর্থ ও শেষ রেকর্ডটি আসে ২০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে। এখানেও তিনি গত বছর নিজের করা রেকর্ড ভেঙে ২ মিনিট ১০.৪৬ সেকেন্ড সময় নেন, যা তার আগের ২ মিনিট ১০.৮৭ সেকেন্ডের চেয়ে দ্রুত।
বাংলাদেশের সাঁতারে নতুন তারকা রাফি। গত দুই বছর থাইল্যান্ডে স্কলারশিপ নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তিনি। নতুন মিশরীয় কোচের অধীনে সাঁতারুরা অনেক কিছুই শিখতে পারছেন। রাফি মনে করেন, এর ফলেই এবার অনেক নতুন জাতীয় রেকর্ড হচ্ছে। নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট এই সাঁতারু ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন।
এত রেকর্ডের মাঝেও হ্যান্ড টাইমিংয়ে সব রেকর্ড হওয়ায় দুঃখ রয়ে গেছে রাফির, 'ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড দিয়ে যে শুধু সঠিক টাইম নির্ণয় করা হয় এমনটি নয়। বাহিরের দেশে এখন আর কেউ হ্যান্ড টাইম গ্রহণ করে না। ইলেকট্রনিক টাইম গ্রহণযোগ্য সব জায়গায়। আমাদের অনেক স্কলারশিপ থাকে। আমি নিজেও স্কলারশিপের মধ্যে আছি। কিন্তু আমাদের টাইমিং ইলেকট্রনিক না হওয়ার কারণে আমাদের স্কলারশিপের সেই সুযোগগুলো হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।'
রাফির চারটি ছাড়াও আজ আরও তিনটি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। সেনাবাহিনীর রোমানা আক্তার একাই দুটি রেকর্ড করেছেন - ২০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়াল মিডলেতে ও ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে। এ ছাড়া ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে নৌবাহিনীর যুথী আক্তার নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন।
দ্বিতীয় দিন শেষে পদক তালিকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০টি স্বর্ণ, ১৩টি রৌপ্য ও ৭টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫টি স্বর্ণ, ১১টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জ নিয়ে দ্বিতীয় এবং বিকেএসপি ০২টি স্বর্ণ, ০৩টি রৌপ্য এবং ০৩টি ব্রোঞ্জ পদক জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট