বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

সাব-রেজিস্ট্রার নুরুলের ১১ কোটি টাকার সম্পদ, লেনদেন ৩২ কোটি

সাব-রেজিস্ট্রার নুরুলের ১১ কোটি টাকার সম্পদ, লেনদেন ৩২ কোটি

সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল আমীন তালুকদার পরিবারের ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং প্রায় ৩২ কোটি টাকার সন্দেভাজন লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগে মো. নুরুল আমীন তালুকদার, তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানম এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আক্তারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন— টঙ্গীর সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল আমীন তালুকদার, তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানম এবং কন্যা জিনাত তালুকদার।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি নুরুল আমীন তালুকদার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট এক কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আর তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজের দখলে রাখেন।

অন্যদিকে তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানম সম্পদ বিবরণীতে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৯ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। যা তার স্বামী নুরুল আমীন তালুকদার অবৈধ উপার্জিত অর্থ। আর তাদের মেয়ে জিনাত তালুকদারের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে অপর মামলায়। 

অন্যদিকে স্ত্রী নুরুন্নাহার খানমের নামে ২৩টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। অপরদিকে, জিনাত তালুকদারের নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় এক কোটি ৭৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। তিন মামলায় নুরুল আমীন তালুকদারকে আসামি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

সর্বশেষ:

শিরোনাম: