
সংগৃহীত
শীত এলেই ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করে—এই বিষয়টা আমরা সবাই জানি। তাই স্নান সেরে ময়েশ্চারাইজার মাখা বা গায়ে তেল দেওয়া অনেকের অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু একটা জায়গার যত্ন নিতে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই—ঠোঁট।
ঠোঁট ফেটে যাওয়া, রং ফিকে হয়ে যাওয়া বা খসখসে অনুভব হওয়া—এই সমস্যাগুলো প্রায় সবারই হয় শীতে। তখন অনেকেই বাজার থেকে কিনে ফেলেন দামি দামি লিপবাম বা লিপ টিন্ট।
কিন্তু জানেন কি, ঘরোয়া উপায়েই আপনি ঠোঁটের যত্ন নিতে পারেন সহজেই, তাও একেবারে প্রাকৃতিকভাবে? চলুন দেখে নিই ঠোঁট সুন্দর, কোমল আর গোলাপি রাখতে কী কী করবেন।
ঠোঁটও চাই এক্সফোলিয়েশন (মরা চামড়া তুলুন ঘরেই)
আপনার ত্বকের মতোই ঠোঁটেও জমে মরা কোষ। এটি না তুললে ঠোঁট কখনোই স্বাভাবিক গোলাপি রঙে ফিরবে না।
- এক চামচ চিনি গুঁড়ো + সামান্য মধু বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন
- সেই মিশ্রণ ঠোঁটে হালকা করে ঘষুন ১-২ মিনিট
- তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
এই স্ক্রাবটি সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করলেই ঠোঁট অনেক নরম ও মসৃণ হবে।
জিভ বোলানো নয়, পানি খান বেশি করে
ঠোঁট শুকিয়ে গেলে আমরা অনেক সময় জিভ দিয়ে ভেজাতে চাই। এটা কিন্তু আরও খারাপ করে পরিস্থিতি।
- দিনে পর্যাপ্ত পানি খান
- ঠোঁট শুকিয়ে গেলে শিয়া বাটার, আমন্ড অয়েল বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন
এগুলো ঠোঁটকে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজড রাখে।
রোদে ঠোঁট পুড়তে দিচ্ছেন না তো?
রোদ শুধু ত্বকের নয়, ঠোঁটেরও শত্রু। বেশি রোদে ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে।
- সানস্ক্রিন যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন
- বাইরে যাওয়ার আগে ঠোঁটেও সুরক্ষা দিন, যেমন আপনি ত্বকে দেন
ঘুমানোর আগে একটু ভালোবাসা দিন ঠোঁটকে
রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে গোলাপজল ও মধুর মিশ্রণ লাগিয়ে ঘুমান।
- ঠোঁট থাকবে কোমল
- ধীরে ধীরে ফিরবে প্রাকৃতিক গোলাপি আভা
কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী কম ব্যবহার করুন
প্রতিদিন লিপস্টিক বা টিন্ট ব্যবহার করলে ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে যায়।
- যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার করুন
- লিপস্টিক লাগালেও খুব বেশি সময় পরে থাকবেন না
- রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন
ঠোঁট আপনার মুখের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশগুলোর একটি। একটু যত্ন নিলেই ঠোঁট থাকতে পারে নরম, সুন্দর ও প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি। তাই শীতের শুরুতেই ঠোঁটের জন্য কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন—ব্যস, আর কোনও দামি প্রোডাক্টের দরকারই হবে না।
সূত্র: কালবেলা