বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

শুভ্র মেঘের ভেলায় অপরূপ সৌন্দর্যে সাজেক

শুভ্র মেঘের ভেলায় অপরূপ সৌন্দর্যে সাজেক

গরমের তুলনায় শীতে ঘুরতেই বেশি আগ্রহী ভ্রমণ পিপাসুরা। গরমের সময় ঘুরলে রোদের তাপের কারণে অল্পতেই ক্লান্তি চলে আসে, কিন্তু শীতের সময় তা হয় না। এ ছাড়াও শীতের সময় প্রকৃতি তার চিরাচরিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফিরে পায়।

সাজেক ভ্যালি

শীতকালে নিরাপদে ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি হলো সাজেক ভ্যালি। শুভ্র মেঘের ভেলায় হারিয়ে যেতে, আকাশের মেঘদের সঙ্গে কথা বলতে হারিয়ে যেতে পারেন মেঘের রাজ্যে সাজেকে। মেঘের ভেলায় ভেসে যেতে চাইলে অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই জায়গাটি অতুলনীয়। সাজেকে গেলে সর্বত্র মেঘ পাহাড় আর শুধু সবুজ আর সবুজ দেখতে পাবেন। সাজেক ভ্যালি থেকেই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। সাজেকের রুইলুই পাড়া যেখান থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে সাজেক ভ্যালির সর্বোচ্চ চূড়া। কংলাকে যাবার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড়, আদিবাসীদের জীবনযাপন, ও চারদিকে মেঘের আনাগোনা দেখা যায়। এ ছাড়াও উপভোগ করবেন সাজেকের সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা এবং রাতসহ সব বেলার এক ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য।

যেভাবে যাবেন

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সাজেক যেতে হলে শান্তি পরিবহনে করে ঢাকা থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা যাবেন। এ ছাড়াও খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরের কাছ থেকে জীপগাড়ি-চাঁন্দের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে সাজেক ভ্যালি ঘুরে আসতে পারবেন। যাওয়া-আসাসহ দুই দিনের জন্য ভাড়া আনুমানিক ৯,০০০-১০,৫০০ টাকা হতে পারে। এক গাড়িতে করে ১২ থেকে ১৫ জন যেতে পারবেন।

হোটেল ভাড়া

সাজেকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে হোটেল পাওয়া যায়। সাজেকে পৌঁছানোর পরে হোটেল ভাড়া করা যায়। তবে দীর্ঘ ছুটি, ঈদ বা এ রকম লম্বা ছুটির সময় অবশ্যই আগে থেকেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাওয়া ভালো। কারণ, ওই সময় ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি হোটেল রুম ফাঁকা না থাকার সম্ভাবনা থাকে।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ