শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

যে গ্রামের মানুষদের রান্নাঘর এক দেশে, শোয়ার ঘর অন্য দেশে!

যে গ্রামের মানুষদের রান্নাঘর এক দেশে, শোয়ার ঘর অন্য দেশে!

ধরুন খাওয়ার সময় খাচ্ছেন আপনি এক দেশে কিন্তু শোবার সময় যাচ্ছেন অন্য দেশে! কি ভাবছেন এ আবার কিরকম পাগলের প্রলাপ! না একেবারেই প্রলাপ না। এমনটাই করেন একটি গ্রামের জনগণ। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটি সত্যি।

ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধু ভৌগোলিক অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে এই বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠেনি, বরং তা হয়েছে ভাষা, পোশাক, রীতি, খাদ্যাভ্যাসের উপর ভিত্তি করেও। পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এখনও বসবাস করেন গ্রামেই।

এই দেশেই রয়েছে অদ্ভুত একটি গ্রাম যার অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য অবাক করে দেয় সবাইকে। মজার বিষয় হলো এখানে বসবাসকারী বহু মানুষের বাড়ির রান্নাঘর ও শোয়ার ঘর রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও ঠিক এমনই এক গ্রাম রয়েছে ভারতবর্ষের মধ্যেই

এখানকার গ্রামবাসীদের সীমান্ত পার হতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। গ্রামটির নাম লংওয়া। এই গ্রামটি নাগাল্যান্ডে অবস্থিত। এই গ্রামের ঠিক মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে ভারত ও মায়ানমার সীমান্ত। সাধারণত কোনিয়াক আদিবাসীদের বসবাস এই গ্রামে।

এই গ্রামে ‘হেড হান্টিং’ ছিল একটি জনপ্রিয় রীতি। ঘন জঙ্গলের মাঝে মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের শেষ গ্রাম হলো লংওয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মায়ানমারের পাশে প্রায় ২৭ টি কোনিয়াক গ্রাম রয়েছে বলে জানা যায়। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এই গ্রামে ‘হেড হান্টিং’ ছিল একটি জনপ্রিয় রীতি।

শোনা যায়, লংওয়া গ্রামে রাজার মোট ৬০ জন স্ত্রী রয়েছেন। অর্থাৎ গ্রামের বংশানুক্রমিক প্রধানের ৬০ জন স্ত্রী থাকেন। লংওয়া গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশ খুব সহজেই পর্যটকদের মন জয় করে নেয়। ডোয়াং নদী, শিলোই হ্রদ, নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র, হংকং মার্কেট এবং আরো অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে কাছাকাছিই। এই গ্রামটি মোন শহর থেকে প্রায় ৪২ কিমি দূরে অবস্থিত।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: