শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘ অপেক্ষার পর রুপালিপর্দায় অ্যাভাটার ঝড়

দীর্ঘ অপেক্ষার পর রুপালিপর্দায় অ্যাভাটার ঝড়

দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবার রুপালিপর্দায় আলোড়ন তুলতে এসেছে অ্যাভাটার। এবারও তোলপাড় শুরু করেছে জেমস ক্য়ামেরন পরিচালিত এই দুরন্ত সায়েন্স ফিকশন ধর্মী এ সিনেমা। ভক্তরা অবশ্য এতে আশ্চর্য নন। ক্যামেরন আর ‘অ্যাভাটার’ দুটি শব্দ একসঙ্গে মানে তো অসাধারণ কিছু হবেই।

অ্যাভাটার সিরিজের এবারের নতুন ছবির নাম ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ‘প্যান্ডোরা’-র রঙিন দুনিয়ার টানটান উত্তেজনার গল্প রয়েছে এটিতে। ‘প্যান্ডোরা’-র বাসিন্দাদের নাম ‘না’-‘বাই’। যারা কিনা ‘হিউম্যানোয়েড’। ৯ ফুট লম্বা, নীলবর্ণ এই ‘না’-‘বাই’ -দের উপর মানুষ কীভাবে হামলা চালাচ্ছে, কীভাবে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে ‘প্যান্ডোরা’-র বাসিন্দারা, এই নিয়েই সিনেমার গল্প।

‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’-এ পৃথিবীকে ক্রমশ শেষ হতে থাকা এক গ্রহ হিসেবে তুলে ধরেছেন ক্যামেরন। সেই জন্যই অন্য গ্রহের খোঁজে ‘প্যান্ডোরা’ আক্রমণ করছে মানুষ। তারপর কী হয়? সেটাই দেখার। ১৯২ মিনিটের নির্মিত সিনেমাটির প্রতিটি দৃশ্য দেখার মতো। এক মুহূর্ত চোখ সরানোর উপায় নেই-এমনটাই জানিয়েছেন ভক্তরা।

পশ্চিমা দুনিয়ায় এরই মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলেছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’-র অত্যন্ত উন্নত ও নিখুঁত দৃশ্যকল্প। গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রগুলো যত ফুটে ওঠে, তত তার ‘ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি’ থেকে চোখ ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। সিনেমাটি দেখতে গিয়ে বহু সময়েই ২০০৯ সালের ‘অ্যাভাটার’-র কথা মনে পড়ে যাবে ভক্তদের। ওই সিনেমার দুরন্ত ব্যবহার করে দেখিয়েছিলেন অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। এবারও প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রত্যেকটি শটে দর্শকদের সিটে বসিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছেন পরিচালক।

গল্পের প্লট তো বটেই, ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটিতেও তাক লাগিয়েছেন ক্যামেরন। দ্বিতীয় ছবির গল্প শুরু হচ্ছে প্রথম ছবির ঘটনার ১০ বছর পর। দেখা যাচ্ছে, ‘ওমাটিকায়া’-র প্রধান হিসেবে ‘প্যান্ডোরা’তেই থেকে গিয়েছেন জ্যাক সালি। ‘নেয়টিরি’-র সঙ্গে মিলে রীতিমতো সংসারও করছেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে হয়েছে তাদের। রয়েছে এক পালিতা কন্যাও। এক মানুষেরও দেখা মিলবে প্যান্ডোরায়। সেখানেই জন্ম তার।

কিন্তু ‘ক্রাইস্টোসিস’-এ করে তাকে পৃথিবীতে আর ফেরত পাঠানো যায়নি। এমন জায়গা থেকে গল্প শুরু। এরপর প্যান্ডোরা আক্রমণ করবে মানুষ। এগোবে গল্প। কোথায় যাবে, কার হার, কার জিত, এই নিয়েই টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ১৯২ মিনিট।

তবে সিনেমাটির মূল ইউএসপি এর আবেগ। সব শ্রেণির এই ছবির সঙ্গে সহজে আত্মিক হতে পারবেন, এমনভাবেই সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। চরিত্রগুলো নির্মাণেও সেই যত্ন স্পষ্ট। দুরন্ত ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি, নস্টালজিয়া-কোশেন্ট সব কিছু সত্ত্বেও তাই আবেগের উপরই ভর করে তুফান তুলেছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: