রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নেন প্রাইভেটে, মান তো কমবে

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নেন প্রাইভেটে, মান তো কমবে

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা এখন পুঁজি নির্ভর। রাষ্ট্র, সমাজ পুঁজির ওপর দায় দিতেই অভ্যস্ত। শিক্ষাকে উপলক্ষ করে কত রকমের ব্যবসা! শত শত কোচিং ব্যবসা গড়ে ওঠেছে। কোচিং করে শিক্ষার মূলে যাওয়া সম্ভব না। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিংয়ে গিয়ে পড়াচ্ছেন। রীতিমত ফাঁদ পেতে এই ব্যবসা। আবার গাইড বই বের করে শিক্ষার আরও ক্ষতি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ছকের বাইরে আর শিক্ষার্থীরা ভাবতে পারছে না। সর্বশেষ আমরা সৃজনশীল পদ্ধতির সংযোজন দেখলাম। কাজে আসল না। এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের আরও ক্ষতি করেছে। অর্থাৎ সব আয়োজন মূলত পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই।’

এই এমিরেটরস অধ্যাপক বলেন, ‘পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা আসলে কী দিচ্ছে আমাদের, তা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময়ে দেখা যাচ্ছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করছে। তারা ন্যূনতম নম্বরও পাচ্ছে না। আবার যারা পাস করে ভর্তি হচ্ছে, তাদেরও অবস্থাও ভালো বলা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই শিক্ষার্থীরা চাকরির পড়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। তাদের মধ্যে কোনো গবেষণার প্রবণতা নেই, সৃজনশীলতা নেই। নেই সাংস্কৃতিক চেতনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা অর্জনের প্রবণতা। আবার চাকরির পড়া পড়েও যখন লাখ লাখ শিক্ষার্থী বেকার হয়ে পড়ছেন, তখন অন্যরাও শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আর আগ্রহ নিয়ে পড়ান না। তাদের মধ্যেও গবেষণার প্রবণতা নেই। বেতন-ভাতার ঘাটতি নিয়েও তাদের মধ্যে হতাশা আছে। এ কারণেই অর্থের পেছনে ছুটছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। যেখানে টাকা সেখানেই ছুটছেন। এটি একবারে অনৈতিকভাবেই। সুতরাং বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, এতে আমি অবাক হইনি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: