সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ী বছরে স্বপ্ন ছুঁয়েছে আ.লীগ সরকারের যেসব উন্নয়ন প্রকল্প

বিদায়ী বছরে স্বপ্ন ছুঁয়েছে আ.লীগ সরকারের যেসব উন্নয়ন প্রকল্প

সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছে। এরই ধারবাহিকতায় ২০২৩ সালেও অনেকগুলো প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে বর্তমান সরকার।

বিদায়ী বছরে স্বপ্ন ছোঁয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হলে, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী বন্দরের চ্যানেল, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-কক্সবাজা রুটে রেলসহ আরো কিছু প্রকল্প।

পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ: চলতি বছরের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ করছে। এর ৮২ কিলোমিটার অংশ ঢাকা ও ভাঙ্গাকে সংযুক্ত করে, যা ১০ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয় এবং এর যশোর সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সমাপ্ত হওয়ার পর রেল যোগাযোগ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের মধ্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী শহরের প্রবেশ পথ আরো বর্ধিত হবে যা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার নতুন এলাকাকে যুক্ত করবে বলে প্রকল্পের বিশদ বিবরণে উল্লেখ করা হয়। প্রকল্পটি ঢাকা-যশোর-খুলনাকে ২১২ দশমিক শূন্য পাঁচ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট দিয়ে বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করবে।

মেট্রোরেল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন করেন। এরপর ৫ নভেম্বর থেকে উত্তরা-মতিঝিল রুটে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করা হয়। মূলত যানজট নিরসনে রাজধানীজুড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল: চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম যোগাযোগ পথ টানেলের ফলক উন্মোচন করা হয়। এটি উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সড়ক টানেল এটি।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নির্মাণ কাজ শুরুর প্রায় সাড়ে চার বছর পর টানেলের উদ্বোধন করা হয়। টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর গাড়ি চলাচল শুরু হয় ২৯ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের ১১.৫ কিলোমিটার অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন। দ্রুতগতির এই উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার।

উদ্বোধনের পর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে কাওলা-তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে খুলে দেয়া হয়। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

শহরের যানজট নিরসন করতে প্রকল্প হাতে নেয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পরে এটির উদ্বোধন করা হয়। বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) অধীনে পরিবহন খাতে এটাই প্রথম প্রকল্প। সম্পূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে অর্থাৎ তেজগাঁও-কুতুবখালী পর্যন্ত ২০২৪ সালের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

মাতারবাড়ী বন্দরের চ্যানেল: এ বছরের ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এই চ্যানেলে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। জোয়ার-ভাটায় যেকোনো সময়ে আট হাজার টিইইউএসর জাহাজ ভিড়তে পারবে এখানে। ফলে আন্তর্জাতিক শিপিং লাইনগুলোর জন্য বাংলাদেশে জাহাজ নিয়োজিত করার সুবিধা বাড়বে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এ বন্দরকে ঘিরে মাতারবাড়ী-মহেশখালী এলাকায় ব্যাপক শিল্পায়নসহ গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকসহ পেশাজীবীদের জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের বেকার সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে এই বন্দর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে।

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে: চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর উচ্চ গতির সড়ক পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রথম ১৪ লেনের এ সড়কের নাম ‘শেখ হাসিনা সরণি’। এটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকার পূর্ব থেকে পশ্চিমে নতুন সংযোগ তৈরি হয়। যদিও শতভাগ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সাধারণের চলাচলের এ পথটা খুলে দেয়া হয়।

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হলো, ঢাকার নতুন গেইটওয়ে। এটি দেশের প্রথম ১৪ লেনের মহাসড়ক। যার আটটি এক্সপ্রেসওয়ে। এরই মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ, কুড়িল থেকে কাঞ্চন সড়ক বাতির কাজও শেষ। মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে ১০০ ফুট খাল। বিশেষ ব্যবস্থা থাকায় ভারি বৃষ্টিতেও এ পথে তৈরি হবে না কোনো জলাবদ্ধতা। এ ছাড়া শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতেও এই প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঢাকা-কক্সবাজা রুটে রেল: গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধন করেন। এ সময় ডিসেম্বর থেকে দুইটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর ১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। রাত ৯টা ১০ মিনিটে এই ট্রেন ঢাকায় পৌঁছায়। ফিরতি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায় রাত সাড়ে ১০টায়।

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর