![আজ ১৮৫৬৬ পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী আজ ১৮৫৬৬ পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী](https://www.alokitosirajgonj.com/media/imgAll/bg_img/6667cc7764aa1-01.jpg)
সংগৃহীত
আজ মঙ্গলবার সারা দেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আজহার উপহার হিসেবে জমি ও ঘর হস্তান্তর করবেন। এদিন কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জমি ও ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে মোট ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা পুরোপুরি ভূমি-গৃহহীনমুক্ত হবে। এর আগে ছয় দফায় ৩২টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৯৪টি উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত করা হয়েছিল।
আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘর দেওয়ায় এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমি-গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছে ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু ঘর উপহার দিচ্ছেন না। তাদের জীবনমান উন্নয়নে দেওয়া হয়েছে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ঋণ। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার এবং দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিনের কাজ। এ ছাড়া হাঁস-মুরগি-কবুতর পালন ও শাকসবজি উৎপাদনসহ কৃষিকাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী (বর্তমান লক্ষ্মীপুর) জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমি-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভূমি-গৃহহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে সারা বিশ্বে প্রশংসিত দারিদ্র্য বিমোচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ‘শেখ হাসিনা মডেল’।
নতুন করে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোণা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার দরকাপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবেন একরাম মিয়া ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম।
এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার একরাম মিয়া ও দেলোয়ারা বেগমের। ভ্যানচালক একরামের ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই। থাকতেন পরিচিত কারও বাড়ির উঠোনে ঘর বেঁধে বা কারও ঘরের বারান্দায়। মাঝেমধ্যে ছেলেমেয়েকে থাকতে হয়েছে খোলা আকাশের নিচেও। নিজের জমি কিংবা ঘর তার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। তবে তাদের সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর পেয়ে অনেক খুশি একরাম মিয়া। ঘর তার নামে রেজিস্ট্রি হলেও আজ মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে উঠবেন। তাই মুখে হাসি লেগেই আছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দেওয়ার কারণে আমি অনেক খুশি। আমি প্রতিদিন শেখ হাসিনার জন্য দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন