শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত

এসএমই ফাউন্ডেশনের (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন) উদ্যোগে আজ রবিবার রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৪’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করবেন। 

জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিল্প উন্নয়ন ভাবনার পরিস্ফুটন হয় ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে, যা তিনি নিজেই প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এসময় তিনি বাংলাদেশে শিল্প প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম শিল্প ও বিনিয়োগনীতি ঘোষণা করেন এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রয়োজনীয় দপ্তরসমূহ গঠন করেন। জাতির পিতার উন্নয়ন দর্শনের আলোকে বিগত ১৫ বছর আমরা শিল্প খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।’ 

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আরও বলেন, ‘দেশের শিল্প খাত ক্রমেই সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরশিল্প এসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে, যা মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ। এসএমই খাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্প পণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগের জোগান দিয়ে থাকে। আমাদের সরকার এ বছরকে ‘জাতীয় হস্তশিল্প বছর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে আমরা বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্পনীতি ২০২২ ও এসএমই নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এসডিজি ২০৩০, রূপকল্প ২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিয়েছি। করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় আমরা এসএমই শিল্পে আর্থিক প্রণোদনা এবং রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রম খাতে নিযুক্ত হচ্ছে এবং নারী উদ্যোক্তা ও কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। এসএমইএফ কর্তৃক নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি ও স্টার্টআপ বিষয়ে ১৫০টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৩০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে ক্রেডিট হোলসেলিং মডেল ব্যবহার করে ৭১৬ কোটি টাকা ৮ হাজার ২৮৬ জন উদ্যোক্তাকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যার ২৩ শতাংশ নারী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমই খাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।’ 

সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

সর্বশেষ: