শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন কাল

প্রধানমন্ত্রী ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন কাল

সংগৃহীত

সরকারি সফরে আগামীকাল বুধবার থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের এশিয়া ও প্যাসিফিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ইউএন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম বহুপক্ষীয় অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি দলিল সই হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি জানান, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি সফর এবং ইউএনএসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি আগ্রহপত্র সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তাঁর সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন তিনি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তির পাশাপাশি জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সহযোগিতা-সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি আগ্রহপত্র সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সফরে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরা-লংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাচাও-উহুয়া এবং রানী সুধিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট পর্যটন প্রচারণা, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময়মতো যোগদান করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ মর্যাদা লাভে বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়ে আরও জোরালোভাবে অনুরোধ করা এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিরসনে থাইল্যান্ডসহ আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অধিকতর সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, এ ছাড়া ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ অধিবেশনে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বক্তব্য দেবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএনএসক্যাপের নির্বাহী সচিবের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টরা সফর ও সম্মেলনে যোগ দেবেন।

সূত্র: সমকাল

সর্বশেষ: