শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের খবর মিলেছে। তবে দুর্ঘটনায় এত মানুষের নিহতের কারণ জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন।

তিনি বলেন, নিহতদের বেশিরভাগ অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ভবিনটিতে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। এছাড়া সিলিন্ডারও ছিল অনেক। এজন্য ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। ফলে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা মারা গেছেন তারা আগুনে দগ্ধ না হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা যেতে পারেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

জানা গেছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি ও পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়েন। এই অবস্থায় ভবনের তিনতলা এবং সাততলায় আটকে পড়ারা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকেন।

এদিকে, রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনে আগুনের ঘটনায় অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান। আর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ: