মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

এপ্রিলেই মিলবে ক্ষতিপূরণের ১২০ কোটি টাকা

এপ্রিলেই মিলবে ক্ষতিপূরণের ১২০ কোটি টাকা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ৬ লেনের সংযোগ সড়ক প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ১২০ কোটি টাকা মিলবে আগামী এপ্রিলে। সংযোগ সড়কের চার লেনের কাজ প্রায় শেষ। বাকি দুই লেনের কাজ করতে গিয়ে নতুন করে ‘পকেট ল্যান্ড’ ও কিছু ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হওয়ায় ভূমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ বাবদ এই টাকা ছাড় করার আবেদন জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ক্ষতিগ্রস্তদের বরাদ্দ দেয়ার পর তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলো অপসারণের কাজ শুরু হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, আর মাত্র দুই মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কের চার লেন পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। বড়উঠান ও চাতরী অংশে যে দুটি কালভার্টের কাজ চলছে তা সর্বোচ্চ মধ্য মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তবে ছয় লেনের বাকি দুটির কাজ শেষ করতে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আরো কিছু সময় লাগতে পারে।

সওজ সূত্র জানায়, ছয় লেন প্রকল্পের জন্য নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণে কিছু বাড়তি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। মূলত এ কারণে ৬ লেনের কাজ শেষ করতে সময় কিছুটা বেশি লাগছে। সর্বশেষ ধাপের অধিগ্রহণে এখনও অনেকে স্থাপনার ক্ষতিপূরণও পায়নি। এর মধ্যে বাড়তি ক্ষতিপূরণের জন্য সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী অবশিষ্ট কাজে অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণ বাবদ ১২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকা আগেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ৫৭ কোটি টাকা আগামী মাসের মধ্যেই প্রদান করা হবে। বাকি ৩৩ কোটি টাকা মিলবে সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের পর। সবগুলো টাকা ছাড় হলে এপ্রিল নাগাদ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝে পাবেন বলে জানা গেছে।

সওজের কর্মকর্তারা জানান, শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালা বিবির দীঘি পর্যন্ত টানেল সংযোগ সড়কের অনেক জায়গায় ৬ লেনের কাজ হয়ে গেছে। কিছু জায়গায় বাড়িঘর, স্থাপনা রয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার পর সেই সব স্থাপনা সরানো যাবে। এর মধ্যে বড় কাজ হবে চাতরী চৌমুহনী বাজারে। এখানে দোতলা, তিনতলা কিছু স্থাপনাও সরানোর প্রয়োজন হবে। এরপরই ৬ লেনের কাজ পুরোদমে শেষ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এদিকে সংযোগ সড়কের কালা বিবির দীঘি, টানেল সড়কের সংযোগ পয়েন্ট ও শিকলবাহা ওয়াই জংশনে নির্মাণাধীন ৩ ইন্টার সেকশনের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এগুলোও তৈরি হয়ে যাবে। তবে চাতরী চৌমুহনী, ফকিরনীরহাটসহ তিনটি পয়েন্টে ওভারব্রিজের আদলে ৩টি ইউলুপ তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও সেগুলো পরে করা হবে। এজন্য প্রস্তাবনা তৈরি হলেও প্রকল্পটি এখনো যাচাই–বাছাই চলছে।

৬ লেনের টানেল সংযোগ সড়ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, ৬ লেনের টানেল সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। টানেল হলো চার লেনের। তাই সংযোগ সড়কের চারটি লেন এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি দুটি লেনের কাজও চলছে। তবে ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার পর কাজ আরো দ্রুত এগুবে। ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর তালিকাভুক্ত জায়গার স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

সিরাজগঞ্জ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে জুনে
বেলকুচিতে জামান টেক্সটাইল পরিদর্শনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
রায়গঞ্জে কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে ট্রেতে চারা উৎপাদন
সিরাজগঞ্জের নলকায় চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের আর্থিক অনুদান ও ট্রাইসাইকেল বিতরণ
চুরি প্রতিরোধে কাজিপুর থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
শাহজাদপুরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও শরবত বিতরন
সিরাজগঞ্জে মে দিবসের আলোচনা সভায় হেনরী এমপি
গরমে সুপেয় পানি ও শরবত বিতরন করলেন সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ
বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
কামারখন্দে শ্রমিকদের সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন যুবলীগ