বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

জাপানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে জাপানের রাজধানী টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।

শনিবার (৮ আগস্ট) দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার এবং দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।  এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী সবার উদ্দেশে পাঠ করা হয়।

পরে ড. শাহিদা আকতার তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসেবে পাশে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন। ’

তিনি বলেন, ‘সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু জীবনের বিরাট অংশ জেলে কাটিয়েছেন। আর এসময় সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। আর এজন্যই কোনো রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি পরিবারে স্ত্রী-মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে, যাতে তারা বঙ্গমাতার জীবনকর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা নিতে পারে। ’

অনুষ্ঠানের পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রাম বিষয়ে উম্মুক্ত আলোচনা হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।   

আলোকিত সিরাজগঞ্জ