![গাংনীতে তুলাচাষে বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষক গাংনীতে তুলাচাষে বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষক](https://www.alokitosirajgonj.com/media/imgAll/2024February/Screenshot_9-2402111653.png)
সংগৃহীত
মেহেরপুরের গাংনীতে তুলাচাষে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে কৃষকদের। বিঘা প্রতি ১৬ থেকে ১৮ মণ হারে তুলার ফলন ও ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিগত বছর সরকারিভাবে মূল্যবৃদ্ধি করায় কৃষকদের তুলাচাষে আগ্রহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বল জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
গাংনী উপজেলার তুলা চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এ অঞ্চলের ৭টি ইউনিটের মধ্যে ধানখোলা, বেতবাড়ীয়া, কাজীপুর, বামন্দী, হাড়িয়াদহ, গাড়াডোব, মটমুড়া, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিটের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের নিয়ে আইপিএম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কমবেশি সব গ্রামেই তুলার আবাদ করেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চলতি বছরে চাষিদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল হোয়াইট গোন্ড-১, হোয়াইট গোল্ড-২, রূপালী-১ (হাইব্রিড) ও ডিএম-৪ (নিজস্ব), শুভ্র-৩, ইস্পাহানি লালতীর জাতের বীজ প্রদান করা হয়েছে। চাষিদের ধারণা এবার শেষ পর্যায়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিঘা প্রতি ১৬/১৮ মণ হারে তুলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতিমণ তুলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।
গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের তুলা চাষি সাইদুর রহমান মেম্বর ও একই গ্রামের তুলা চাষি হাশেম আলী বলেন, গত বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছিলাম। জমি প্রস্তত, সার, সেচ, কীটনাশক পরিচর্যাসহ উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হয়েছিল। এ বছর ৯ বিঘা ও ৫ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। উৎপাদন খরচ বিঘা প্রতি ২৫ হাজার টাকা বাদ দিয়ে তুলা বিক্রি করে বিঘা প্রতি ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।চাষি শওকত আলী জানান, এর আগে তুলা চাষ করে জমি প্রস্তুত, সার, সেচ, কীটনাশক, পরিচর্যাসহ উৎপাদন খরচ বাদ দিলে চাষিদের কিছুই থাকতো না।
গত বছর তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। গাংনীর মনিরুল ইসলাম, গাঁড়াডোব গ্রামের তুলা চাষি শাহাজান আলী বলেন, এখন পর্যন্ত তুলা ক্ষেতের অবস্থা ভালো। দামও মোটামুটি ভালো আছে। এ বছর খরচের দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে।
চৌগাছা গ্রামের আমিরুল ইসলাম অল্ডাম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। এক বিঘা জমিতে চুলা উৎপাদন হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ মণ। প্রতিমণ তুলা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। এ বছরে তিনি লাভবান হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গাংনী উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার তুলার ফলন আশানুরুপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আঁশ তুলা জমি থেকে তোলা শুরু হয়েছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন বলেন, তুলা চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তুলার ফলন আশানুরুপ হচ্ছে। দাম পেয়েও খুশি কৃষকরা।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট