রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘সালাম’ অত্যাবশ্যকীয়

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘সালাম’ অত্যাবশ্যকীয়

সংগৃহীত

সালাম ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাাহি ওয়াবারাকাতুহ’ দেওয়া সুন্নত এবং সালামের জবাবে ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ’ বলা ওয়াজিব। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সালাম এক অন্যতম অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত।

ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

উচ্চারণ: ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাাহি ওয়াবারাকাতুহ’।

অর্থ: ‘আপনার ওপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক’।

সালামকে আমরা সংক্ষেপে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলি।

সালামের উত্তর হলো,

وَعَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

উচ্চারণ: ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ’।

অর্থ:  আপনার ওপরেও আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক’।

সালামের উত্তরে সংক্ষেপে আমরা বলি ‘ওয়ালাইকুমুস সালাম’।

বর্তমান সর্বোচ্চ আধুনিকতার যুগেও সাদর সম্ভাষণের বেলায় সালামের চেয়ে উত্তম কোনো সম্ভাষণ শব্দ বা বাক্য আবিষ্কৃত হয়নি। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ঐ ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার রহমতের সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী যে প্রথমে সালাম প্রদান করে’।

রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে কোনো সাহাবি অনেক চেষ্টা করেও কোনোদিন আগে সালাম দিতে পারেনি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘আগে সালাম প্রদানকারী গর্ব-অহঙ্কার হতে মুক্ত। সালাম হলো দুষ্ট ব্যধির প্রতিষেধক’।

তিবরানী কিতাবে আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ২০ জন মুসলমানকে সালাম করবে অতঃপর ঐদিন যদি সে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় তবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব’।

সালামের সময় হাত উঠানো মূলত কোনো ইসলামি প্রথা নয়-যদিও আজ মুসলমানেরা এটা রেওয়াজে পরিণত করেছে। বস্তত: এটা রাজশক্তির সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক আদব ছিল। ইসলামে বরং মুয়ানাকার এবং মুসাফাহার বিধান এসেছে। যাতে পরস্পরের উভয় হাত ধরে বলতে হবে- ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম’।

তবে সালামের সহিহ উচ্চারণ আমাদের সমাজে যেন আজ অনুপস্হিত। আধুনিকতার দৌড়ে কে কতো বিকৃত উচ্চারণ করতে পারে তা নিয়ে যেন চলছে প্রতিযোগিতা। যে উচ্চারণে আমরা সালাম দিচ্ছি, (যেমন সামাইকুম) নিজের অজান্তেই তার অর্থ হয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ! কোনোটির অর্থ: ‘আপনার ধ্বংস হউক বা আপনার মৃত্যু হউক’।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

উচ্চারণ: ‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ’। সূরা: আন নূর, আয়াত: ২৭)

আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

لا تدخلوا الجنة حتى تؤمنوا ولا تؤمنوا حتى تحابوا أو لا أدلكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم

অর্থ: ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমরা একে অপরকে ভালোবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলে দেব, যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালো বাসবে? তারপর তিনি বললেন, তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর’। (মুসলিম)

আমাদের সহিহ উচ্চারণে সালাম দিতে হবে। এই একটি আমলের মধ্য দিয়েই আল্লাহ চাহেতো শান্তি চলে আসতে পারে। এতে বহু বহু বরকত হবে ইনশাল্লাহ!

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর